বার্তা৭১ ডটকমঃ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা মো. মোজাম্মেল হক খানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব হিসেবে বেছে নিয়েছে সরকার।বিসিএস ১৯৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা এর আগে সড়ক বিভাগ; বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সরকারের গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। অবসরের বয়সসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া আস্থাভাজন এই কর্মকর্তাকে গত ২৭ নভেম্বর নিজের দপ্তরের মুখ্য সচিবের দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।মুখ্য সচিব পদে কামাল চৌধুরীকে নিয়োগের প্রক্রিয়ার মধ্যেই নতুন জনপ্রশাসন সচিব নিয়োগে কার্যক্রম শুরু হয়। তবে জনপ্রশাসনে কর্মরত জ্যেষ্ঠ ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে, নাকি জুনিয়র ব্যাচ থেকেই এ মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা চলছিল বলে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়।
ফলে কামাল চৌধুরী গত ১ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বিদায় নিলেও তার পাঁচ দিনের মাথায় সোমবার নতুন সচিব নিয়োগের আদেশ জারি হল।
২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ভারপ্রাপ্ত সচিব হওয়ার পর ওই বছর ৪ অগাস্ট একই মন্ত্রণালয়ে সচিবের দায়িত্ব পান মোজাম্মেল।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে সচিবের দায়িত্বে থাকার সময় ২০১৪ সালের ২০ মার্চ পদোন্নতি পেয়ে তিনি জ্যেষ্ঠ সচিব হন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের একান্ত সচিবের (পিএস) দায়িত্ব পালন করা মোজাম্মেল হক ২০০১ সালের মার্চে খালেদা জিয়ার সরকারের সময় অল্প দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক ছিলেন।
এছাড়া আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহর পিএস এবং সাবেক ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার আমিন মিয়া চৌধুরীর পিএসের দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন।
এক সময় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের পরিচালকের (ফাইন্যান্স) দায়িত্ব পালন করা মোজাম্মেলের চাকরির মেয়াদ রয়েছে আরও প্রায় দুই বছর।
বর্তমান সরকারের মেয়াদপূর্তির ঠিক আগে আগে ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা তার।
৫৭ বছর বয়সী মোজাম্মেলের বাড়ি মাদারীপুরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করার পর মিশর থেকে পিএইচডি করেছেন তিনি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আগে প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকলেও বর্তমান সরকারে এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আর ইসমাত আরা সাদেক আছেন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে।
সরকারের সিভিল সার্ভিসগুলোর নিয়ন্ত্রণ এবং শর্তাবলি নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়ন করা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাজ।
নিয়োগপদ্ধতি, বয়সসীমা, যোগ্যতা, স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততা, পরীক্ষা, নিয়োগ, পদায়ন, বদলি, প্রেষণ, ছুটি, ভ্রমণ, জ্যেষ্ঠতা, পদোন্নতি, বাছাই, ‘সাপ্রেশান’ অবসর, অবসরভাতা পরিকল্পনা, পুনর্নিয়োগ, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, পেনশনের শর্ত, পদমর্যাদা নির্ধারণ করাও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।