বার্তা৭১ ডটকমঃ
জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ দামের দেড়গুণ থেকে বাড়িয়ে তিনগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এ–সংক্রান্ত আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদনের জন্য সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ আইনটি বিস্তারিত পর্যালোচনা করে আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে কয়েকটি বিষয় আরও পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটিতে ভূমিসচিব ও প্রতিরক্ষা সচিব থাকবেন। প্রয়োজনে কমিটি সদস্যসংখ্যা বাড়াতে পারবেন।
ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ বাবদ জমির মূল্যের দেড় গুণ অর্থ পরিশোধ করা হয়। নতুন আইনটি পাস হলে জমির দামের তিন গুণ পরিশোধ করবে সরকার।
সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ তিন গুণ করার নীতিগত এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রচলিত আইনে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রদেয় মূল্য কম। এখন সেটাকে জমির দামের তিন গুণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ কী উদ্দেশ্যে কিংবা এর জনপ্রয়োজনীয়তা কী, সেটি আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মাধ্যমে আইনটি বিচার-বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে আহ্বায়ক করে ভূমিসচিব, প্রতিরক্ষাসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ বাড়ানোর প্রস্তাব অনেক দিন ধরেই ছিল। ১৯৮২ সালে এ–সংক্রান্ত আইনে যদি কেউ এক লাখ ক্ষতিপূরণ পেতেন, নতুন এই আইন অনুযায়ী তিনি তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। ওই এলাকার জমির ১২ মাসের দলিলের ব্যয় গড় পর্যালোচনা করে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হবে।
বৈঠকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশ আকারে জারির সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জন আইন-২০১৬–এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।