বার্তা৭১ ডটকমঃ
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম বলেছেন, রাজাকার ও ঘাতকদের সাথে নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না। জামায়াতকে ছেড়ে দিন, জামায়াতকে তালাক দিন। তার পরে আলোচনার কথা বলুন।
তিনি খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জামায়াতকে ছেড়ে অালোচনায় অাসুন। অাপনার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য হলে রাষ্ট্রপতি তা বিবেচনা করবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবাব অালী চৌধুরী সিনেট ভবনে বগুড়া স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অায়োজনে “মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অালোচনা ও মুক্তিযোদ্ধা ও গুণীজন সম্মাননা ২০১৬ ” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাসিম এসব কথা বলেন।
তিনি অারো বলেন, নির্বাচন হবে ২০১৯ সালে। নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনে।বিএনপি খালি প্রস্তাব দেয়। এত প্রস্তাব দিয়ে কী লাভ? সংবিধানে বলা অাছে নির্বাচন কীভাবে হবে। সে অনুযায়ী রাষ্ট্রপ্রতি সব দলের সাথে অালোচনা করছেন। শুধুমাত্র জামায়াতের সাথে অালোচনা হবে না। কারণ তারা ঘাতক। খেলা হবে মাঠে। রেফারি থাকবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার। খেলা হবে ২০১৯ সালে। কে জিতবে দেখা যাবে।
নানা সময়ে বঙ্গবন্ধুকে যারা ছোট করার চেষ্টা করেছে তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা ছোট করার চেষ্টা করে তারা নিজেই ছোট হয়ে গেছে। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সমালোচনা হতে পারে। কারণ আমরা ভুলেরে ঊর্ধ্বে নই। তবে বঙ্গবন্ধু একজন মহান নেতা। তার সমালোচনা এদেশের কোনো দেশপ্রেমিক নাগরিক করতে পারে না। ফিদেল ক্যাস্ত্রোর মতো মহান নেতাও বঙ্গবন্ধুর প্রসংশা করেছেন।
অন্যদিকে, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ অানোয়ার হোসেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি জামায়াত কাজ করেনি। তারা তাদের ক্ষমতায় মিনি পাকিস্তান বানানোয় ব্যস্ত ছিলো। কিন্তুু ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৮ থেকে অাজ অবধি মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা হয়নি। আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের কাছে কতজন রাজাকারের বিচার করা লাগবে তার সঠিক হিসেব নেই। যখন তখন এখানে সেখানে রাজাকার বের হচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ অাওয়ামী লীগের কাছে এর সঠিক তালিকা প্রণয়নের অাশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি অারো বলেন, কয়দিন অাগে মাদরাসার অষ্টম শ্রেণীর একটি বই জিহাদের সমার্থক শব্দ হিসেবে কতল উল্লেখ করা হয়। অারেক বইয়ে লেখা অাছে বঙ্গবন্ধু নাকি ১০ জানুয়ারি ঢাকায় ছিলেন। বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেয়া হচ্ছে, কিন্তুু সেই পাঠ্যবইতে কী দেয়া হচ্ছে তার কোনো দেখভাল নেই। তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের শিক্ষায় শিক্ষিত করা হচ্ছে না।
অনুষ্ঠানে অারো উপস্থিত ছিলেন, অাওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অাবু সাঈদ অাল-মাহমুদ ও বগুড়া জেলা অাওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিরা।