বার্তা৭১ ডটকমঃ
২০১৭ সালের হজপ্রস্তুতি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভা থেকে পবিত্র ক্বাবা শরীফ থেকে মিনা ময়দান পর্যন্ত একাধিক বিকল্প রাস্তা নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, রাস্তাগুলো হারাম শরীফের উত্তর দিকের সম্প্রসারিত এলাকামুখী হওয়া বাঞ্ছনীয়।
সভায় ৪৫টি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার ১৩০ জন বিশেষজ্ঞ অংশ নেন। তাঁরা মক্কা-মদিনা সড়কে দৈনিক হজযাত্রী চলাচল ৫০ হাজারে সীমিত রাখা, পবিত্র স্থানসমূহ পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে আধুনিক প্রযুক্তি ও অপ্রচলিত পদ্ধতি ব্যবহার করা, আগামী হজ মৌসুম শুরুর আগেই মিনার সব তাঁবু শীতাতপনিয়ন্ত্রিত করে ফেলা এবং আরাফাত ময়দানের সব প্রচলিত তাঁবুকে অগ্নিপ্রতিরোধক তাঁবু অথবা পাকা ভবনে রুপান্তরের সুপারিশ করেন।
সভায় বিদেশি হাজিদের দেরিতে আসা বন্ধেরও সুপারিশ করা হয়। বলা হয়, হাজিদের আসার ডেডলাইন হওয়া উচিত ৫ জিলহজ। এরপর আর কাউকে ঢুকতে দেয়া উচিত হবে না।
সভায় হজসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়, যেমন তাঁদের আবাসন, খানাপিনা, পরিবহন, অভ্যর্থনা ও বিদায়, হজের নিয়মকানুন শেখানো ইত্যাদি নিয়েও আলোচনা হয়।
এতে বলা হয়, হাজিদের আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে মাশায়ের ট্রেন স্টেশনগুলো আরো উন্নত করা উচিত। এছাড়া গাইডিং সিস্টেমও আরো উন্নত করতে হবে, যাতে মিনায় হাজিরা পথ হারিয়ে না ফেলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিভিন্ন স্টেশন ও জামারাত ব্রিজ অভিমুখী রাস্তাগুলোর ওপর ছাউনি দেয়া দরকার, যাতে প্রচণ্ড তাপদাহ থেকে হাজীরা বাঁচতে পারেন।
তারা আরো বলেন, আরাফাত, মিনা ও পায়েচলা পথগুলোতে প্রচলিত পানি ছিটানোর ব্যবস্থা আরো বাড়াতে এবং কার্যকর করতে হবে। হাজিদের খাদ্য সরবরাহের জন্য হজ কম্পানিগুলোকে বড় কোনো জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। ফেরার সময় বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য নিজেদের ইচ্ছা ও প্রয়োজন অনুযায়ী যানবাহন বেছে নেয়ার স্বাধীনতা হাজিদের থাকতে হবে।
হাজিদের বিদায়ের সময় বিমানবন্দরে ভিড় ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ারও পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
এসব সুপারিশ মক্কার আমির ও কেন্দ্রীয় হজ কমিটির চেয়ারম্যান প্রিন্স খালেদ আল-ফয়সলের কাছে পাঠানো হবে। সূত্র : সউদি গেজেট