বার্তা৭১ ডটকমঃ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মো. রেজাউল হক এবং পরিচালক আব্দুল আউয়াল পাটোয়ারির বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে ডিএসইর ট্রেক হোল্ডার ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজে বিও হিসাব খোলার অভিযোগ উঠেছে। বিও হিসাব খোলার ফর্মে এসআইবিএলের দুই পরিচালক কোন কোম্পানির পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত নেই বলে তথ্য দিয়েছেন। অথচ তারা উভয়েই সে সময় এসআইবিএলের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এদিকে তথ্য গোপন করে বিও হিসাব খোলে এসআইবিএলের দুই পরিচালক শেয়ার ক্রয়ে মার্জিন ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে উভয় পরিচালকের পোর্টফোলিও নেগেটিভ ইক্যুইটিতে চলে যায়। বারবার তাগাদা দেয়া স্বত্তেও দুই পরিচালক মার্জিন ঋণের অর্থ পরিশোধ না করার কারণে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজ প্রচলিত আইন অনুসারে দুই পরিচালকের শেয়ার বিক্রি করে নেগেটিভ ইক্যুইটি সমন্বয় করে। এর ফলে ঘোষণা ছাড়াই দুই পরিচালকের শেয়ার বিক্রি হয়ে যায়। যা প্রচলিত সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন। মূলত এসআইবিএলের দুই পরিচালকের তথ্য গোপন করার কারণে এ আইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও এসআইবিএলের দুই পরিচালক আইন লঙ্ঘন করে রেকর্ড ডেটে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজের বিও হিসাবে শেয়ার থাকা সত্ত্বেও সেখানে বোনাস শেয়ার না জমা করে অন্য একাউন্ট বেআইনি ভাবে কোম্পানি সেক্রেটারির যোগসাজশে শেয়ার স্থানান্তর করেন।
এদিকে ডিএসইর পক্ষ থেকে এ সকল বিষয়ে তদন্ত চলাকালীন সময়ে এসআইবিএল ও ইন্টান্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজের সাথে বেশ কয়েক দফা চিঠি চালাচালি হয়েছে। চিঠিতে এসআইবিএল ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং তাদের মতামত তুলে ধরে। এর ভিত্তিতে ডিএসই এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত প্রতিবেদন সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে জমা দিয়েছে।
এ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজের ভারপ্রাপ্ত সিইও এ এস এম আহসান হাবিব চৌধুরী
বার্তা ৭১ ডটকমকে জানান, আমাদের কাছে সংশ্লিষ্ট দুই গ্রাহক (মেজর (অব.) মো. রেজাউল হক এবং আব্দুল আউয়াল পাটোয়ারি) ব্যাংকের পরিচালক সংক্রান্ত কোন তথ্য দাখিল করেন নাই। তাই আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব হয় নি যে তারা এসআইবিএলের পরিচালক কি না। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদ্বয় মার্জিন ঋণ নিয়েও পরবর্তীতে তা আর পরিশোধ করেন নি। তাই এক্ষেত্রে প্রচলিত আইন অনুসারে তাদের হিসাবে থাকা শেয়ার বিক্রি করে আমাদের ঋণ সমন্বয় করতে হয়েছে। এ বিষয়ে ডিএসই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে। আমরা ডিএসইকে এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছি। এসআইবিএলের দুই পরিচালকের শেয়ার বিক্রি সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে যে সকল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা বিদ্যমান আইন অনুসারেই করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজের পক্ষ থেকে আইনের কোন ব্যত্যয় ঘটে নি।
অন্য দিকে এ বিষয়ে ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (DMD) তারেক মোর্শেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভীষন ব্যস্ততার কথা বলে পুঁজিবাজার ডটকমের প্রশ্ন এড়িয়ে যান।
আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।