বার্তা৭১ ডটকমঃ
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, ছাত্রলীগ হলো ইনফেন্ট্রি ডিভিশন আর যুবলীগ হলো স্টাইকিং ফোর্স। ইনফেন্ট্রি ডিভিশন রাস্তা করবে এবং যুবলীগ সেই রাস্তা ব্যবহার করেই আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করে। এজন্যই যুবলীগ হলো স্টাইকিং ফোর্স।
রবিবার সকাল ১০টায় শিল্পকলা একাডেমিতে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত সংবাদচিত্র প্রর্দশনী ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নদী যদি গতি হারায় নদী মরে যায়। স্টাইকিং ফোর্সের যদি গতি হারায় তাহলে দল মরে যাবে। ওমর ফারুকের নেতৃত্বে যুবলীগে যে ঐতিহ্য আছে, সে যুবলীগের সুনামও আছে। যুবলীগ চেয়ারম্যান বিভিন্ন জায়গায় যুবলীগের যে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে সত্যি কথা বলতে আওয়ামী লীগ হিসেবে আমি গর্ববোধ করি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে যারা মেনে নিতে পারেনি, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে যারা স্বীকৃতি দেয়নি, তারা পাকিস্তানের সাথে হাত মেলায়। এজন্য ৭৫-এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিলো। তবে একটি কথা বলে রাখি যতদিন শেখ হাসিনা এ দেশের কর্নধর থাকবে, ততদিন পর্যন্ত ষড়যন্ত্রকারীরা কোনোদিনই দেশে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। কারণ ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ স্টাইকিং ফোর্স তারা জানে কিভাবে কাজ করতে হয়। কোথায় আঘাত করতে হয়। এজন্য যুবলীগের বড় দায়িত্ব তাদের ইউনিটি বজায় রাখা।
নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, এই দেশে আরো ষড়যন্ত্র আসবে, লন্ডনে বসে এখন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিচারপতিদের নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ ষড়যন্ত্র শুধু আজকের নয়, ১৯৬০ থেকে দেশে চলে আসছে।
আলোচনা সভায় যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মো. জাকির হোসেন খাঁন, আনোয়ারুল ইসলাম, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুর আলম শাহীন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মুহা. বদিউল আলম আসাদুল হক, মিজানুল ইসলাম মিজু, কাজী আনিসুর রহমান, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, শ্যামল কুমার রায়, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিল, দক্ষিণ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।