বার্তা৭১ ডটকমঃ আজ নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলায় হাইকোর্টের রায় ঘোষণা করা হবে। বিচারপতি ভবানী প্রসাদসিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।
গত ১৩ আগস্ট আদালত রায় ঘোষণার এই তারিখ নির্ধারণ করেন। এর আগে এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে গত ২৬ জুলাই।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মো. আহসান উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্ব-পরিকল্পিত। এর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জড়িত। তাই এই মামলার রায়ের মধ্যে দিয়ে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসে।’
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয় জনের লাশ। পরদিন ভেসে ওঠে আরও একজনের লাশ। নিহত অন্যরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম। ঘটনার একদিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে নূর হোসেনসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।
গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পরে ২২ মে সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত নুর হোসেনসহ আসামিদের নিয়মিত ও জেল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। গত ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত নুর হোসেন, তারেক সাঈদসহ আসামিরা খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন।