মডেল হিসেবে একটা সময় ফয়সাল আহমেদ ছিলেন বেশ সুপরিচিত। তিনি মডেলিংয়ের পাশাপাশি কয়েকটি টিভি নাটকেও অভিনয় করেছেন। তার আরেক পরিচয় হলো তিনি হলেন, সময়ের সেরা অভিনেত্রী জয়া আহসানের সাবেক স্বামী। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ফয়সাল বেশ কিছুদিন দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সমপ্রতি তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়েছে রাজধানীর মতিঝিল থানায় (মামলা নং ০৩, ০২ মে-২০১২)।
মামলাটির তদন্ত করছেন মতিঝিল থানার এসআই শেখ মো. নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, মামলাটির এখনও তদন্ত চলছে। সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। এটি যেহেতু জালিয়াতির মামলা সে ক্ষেত্রে ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত সিআইডিতে স্থানান্তর করা হতে পারে। মতিঝিল থানা সূত্রে জানা যায়, ফয়সাল তার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর বারিধারার একটি বাড়ি দেখাশোনা ও তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। ফয়সালের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে যে, স্বাক্ষর জাল করে ও জাল দলিলের মাধ্যমে তিনি বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন এবং ক্রেতার কাছ থেকে কয়েক দফায় প্রায় ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ফয়সাল আহমেদের প্রবাসী বন্ধু সমপ্রতি দেশে ফিরে দেখেন, বাড়ির মালিকানা তার হাতছাড়া হয়ে গেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিঝিল থানার এসআই শেখ মো. নাসির উদ্দিন মামলাটির প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পেশ করেছেন। এর ভিত্তিতে আদালত ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এদিকে গত ৯ই মে ফয়সাল তার আইনজীবীর মাধ্যমে উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করেছেন। হাইকোটের ১০ নম্বর এজলাসের মাননীয় বিচারক ফয়সালের জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। মামলাটি দায়েরের পর থেকে মডেল ফয়সাল আত্মগোপনে রয়েছেন। এ বিষয়ে ফয়সাল আহমেদের বক্তব্য জানার জন্য অনেক চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার সবক’টি সেলফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।