বার্তা৭১ ডটকমঃ নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন ও যৌন হয়রানি বন্ধে একটি টেকসই সামাজিক আন্দোলন চলমান রাখতে ময়মনসিংহে মতবিনিময় সভা হয়েছে।
বুধবার সকালে জেলার পৌরসভা মিলনায়তনে এ সভা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আইসিটি মো. বেনায়েত হোসেন। তিনি বলেন, ‘পারিবারিক শিক্ষা ও প্রাথমিক সুশিক্ষা একজন মানুষকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীদের বেশি করে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।’
যে কোন সহিংসতায় পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সচেতনতার মাধ্যমে প্রতিরোধ করতে আহ্বান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়িতা শিলা বলেন, ‘প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নীতি ও নৈতিকতা সম্পর্কে জানতে হবে। সহপাঠীকে ছেলে-মেয়ে হিসেবে নয়, বন্ধু হিসেবে দেখতে হবে।’
সভায় ব্র্যাকের বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা মিতু দেবনাথ বলেন, ‘নারী নির্যাতনের একটি বড় হাতিয়ার হচ্ছে যৌন হয়রানি। যৌন হয়রানির মাধ্যমে নারীর মানবাধিকার যেমন, চলাফেরার অধিকার, শিক্ষার অধিকার সর্বোপরি বেঁচে থাকার অধিকার ক্ষুণ্ণ হয় যা সংবিধানের পরিপন্থী।
‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের আসা-যাওয়ার পথে যৌন হয়রানি বন্ধে সচেতনতা ও চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন করতে হবে। সমাজ থেকে এই ব্যাধি নির্মূলকরণে মেয়েদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন করতে হবে।
‘ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি বিরোধী কমিটি গঠন করা হয়েছে। যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে প্রচারাভিযান আরও জোরদার করে গণ-জাগরণ তৈরি করতে হবে।’
সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন ও যৌন হয়রানি বন্ধে একটি টেকসই সামাজিক আন্দোলন চলমান রাখা এবং মেজনিন কর্মসূচির শিখনসমূহ ব্যবহারিক জীবনে প্রয়োগ সংক্রান্ত কর্মকৌশল সম্পর্কে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কমিউনিটি ওয়াচ গ্রুপ, নেটওয়ার্ক সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তাদের ভূমিকা ও করণীয় চিহ্নিত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের আরেক বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা, কাজী সাহানা আক্তার।
সভায় জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কমিউনিটির সদস্য, অভিভাবক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি কর্মসূচির উদ্যোগে এ সভা হয়।