জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ আট মাস পর দেশে ফিরলেন। নিউ ইয়র্কে বৃহদান্ত্রের ক্যান্সারের অস্ত্রোপচারের আগে সপ্তাহ দুয়েক দেশে থাকবেন তিনি।
ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছানোর পর এই প্রথম দেশে ফিরলেন হুমায়ূন।
তাঁর সঙ্গে ফিরছেন স্ত্রী মেহের আফরোজ (শাওন) এবং দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিত। বিমানবন্দর থেকে তার সরাসরি গাজীপুরে নূহাশ পল্লীতে চলে যাওয়ার কথা রয়েছে।
১২ জুন নিউইয়র্ক সিটির বেলভ্যু হাসপাতালে হুমায়ূনের অস্ত্রোপচার হবে। এর মধ্য দিয়ে শুরু হবে তার তৃতীয় পর্বের চিকিৎসা। তার আগে কয়েকটা দিন দেশে আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে কাটাতে ঢাকা এসেছে হুমায়ূন পরিবার।
দেশের ফেরার আগে নিউ ইয়র্কে শাওন বলেন, “অস্ত্রোপচারের বিষয়টি অনেক বড়, তাই লেখক চাইছেন স্বজনদের সাথে মিলিত হতে, সবার দোয়া নিতে।”
হুমায়ূনের শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বুঝতেই পারছেন, অবস্থার কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে বলেই ঢাকায় যাওয়ার অনুমতি মিলেছে।”
একুশে ও বাংলা একাডেমী পদকে ভূষিত হুমায়ূন গত সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে যাওয়ার পর মেমোরিয়াল স্লোয়ান-কেটরিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসা নিতে শুরু করেন। দুই পর্বে মোট ১২টি কেমো থেরাপি নেওয়ার পর গত সপ্তাহে তার এমআরআই করা হয়। এর প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত দেন চিকিৎসকরা।
শাওন জানান, অস্ত্রোপচারের পর অন্তত দুই সপ্তাহ হাসপাতালে কাটাতে হবে হুমায়ূনকে।
১৯৪৮ সালে জন্ম নেওয়া হুমায়ূন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই লেখালেখি শুরু করে সাহিত্য সমালোচকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। তারপর ধীরে ধীরে দেশের জনপ্রিয়তম কথাসাহিত্যিকে পরিণত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের এই শিক্ষক। লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে ওঠার পর অধ্যাপনা ছেড়ে দেন তিনি।
টিভিতে নাটক লিখে ও নিদের্শনা দেওয়ার পর চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন হুমায়ূন। এ জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন।