বার্তা৭১ ডটকমঃ পাঁচশতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এম ভি গ্রিন লাইন-২ বিকল হয়ে পড়েছে। শুক্রবার সকাল ৮টায় ছেড়ে আসা লঞ্চটি দুপুর সাড়ে ১২টায় বিকল হয়ে এখনও ভাসছে মেঘনা নদীতে। এতে যাত্রীরা আতঙ্কে রয়েছে। ইতিমধ্যেই লঞ্চে দেখা দিয়েছে খাবার সংকট।
লঞ্চে থাকা বরিশালগামী যাত্রী সাংবাদিক গাজী আনোয়ারুল হক জানান, সদরঘাট থেকে ৫৬৮ জন যাত্রী নিয়ে সকালে লঞ্চটি বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। মুন্সিগঞ্জ আসার পরই লঞ্চের একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এরপর আরেকটি ইঞ্জিন দিয়ে আস্তে আস্তে লঞ্চটি চলতে থাকে। কিন্তু দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চাঁদপুরের হরিণা এলাকায় লঞ্চটি পৌঁছানোর পর এ ইঞ্জিনটিও বিকল হয়ে যায়। এরপর অন্য একটি ট্রলারের সহযোগিতায় নদীর মাঝখান থেকে একটি চরের কাছে ভিড়িয়ে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, এ লঞ্চে ভারতের ১৮ জনসহ ফ্রান্সের ৫ জন পর্যটক রয়েছেন।
যাত্রীরা জানান, চালকের সাথে লঞ্চের যাত্রীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় চালক তাদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, বরিশাল থেকে লঞ্চ এসে আপনাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।’
কিন্তু সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্তও কোনো লঞ্চ আসেনি। এমনকি দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চের যাত্রীদের খোঁজও কেউ নেননি।
কয়েক যাত্রী জানান, দীর্ঘ সময় আটকা থাকায় লঞ্চে খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকেই সকালে নাস্তার পর দুপুর-সন্ধ্যায় আর কিছুই খেতে পাননি। ছোট বাচ্চাদের নিয়েও বিপাকে আছেন অনেকে।
এদিকে গ্রিন লাইন-২ লঞ্চের মাস্টার ফরিদুল ইসলাম বলেন, সকাল ৮টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসার পর দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে লঞ্চটি আনকন্ট্রোল হয়ে গিয়ে চরের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় ইঞ্জিনের স্প্রিড কমে দেই। তখন পেছনে এসে দেখি বাম পাশের রাডারটা নেই। এরপর লঞ্চ অ্যাংকর করে রেখেছি। যাত্রীদের বলেছি, মালিক ও ম্যানেজারের সাথে কথা বলেছি, তারা জানিয়েছে লঞ্চ পাঠানো হচ্ছে।
তিনি জানান, প্রতিনিয়তই যোগাযোগ করছি। তবে এ লঞ্চ কখন আসে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
লঞ্চের স্বত্ত্বাধিকারী আলাউদ্দিন বলেন, অন্য লঞ্চ সংগ্রহ করতে সময় লেগেছে। এখন লঞ্চের যাত্রীদের খাবার দেয়া হচ্ছে। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যে তিনটি ছোট লঞ্চ দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাত্রীদের উদ্ধার করে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হবে।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মণ্ডল বলেন, বিষয়টি জানতাম না। আমি এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।