বার্তা৭১ডটকম ( ১১ই মে ২০১২)
আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির এক জরুরী সভায় সংগঠনের সভাপতি এডভোকেট তারানা হালিম এম.পি’র সভাপতিত্বে গুলশান কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, অচিরেই জোটের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ও সংগঠনকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং জেলা শাখাগুলোর কার্যক্রম আরো গতিশীল করার জন্য জেলা শাখার সকল কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মন্ডলীর সদস্যবৃন্দ ও সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ, ড.ইনামুল হক,পিযুস বঙ্গোপাধ্যায়, জামাল উদ্দিন হোসেন,এটিএম শামসুজ্জামান, খালেদ খান, লিয়াকত আলী লাকী, অভিনেতা ফরিদ আলী, কবি রবীন্দ্রগোপ,কবি হালিম আজাদ, কন্ঠশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, অরুন সরকার রানা,নাসিমা আক্তার লাবু, শিরিন বকুল, তানিয়া আহমেদ,সাদিয়া শারমিন টুকু, জয়দেব রায়, চিত্রপরিচালক শাহ আলম কিরন, মিয়া আলাউদ্দিন,আনোয়ার হোসেন মজনু, আকরাম হোসেন, শেখ জাহাঙ্গীর আলম সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির ভাষণে সংগঠনের সভাপতি এড.তারানা হালিম এম.পি বলেছেন যারা দেশের অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে বিদেশীদের বলে তারা দেশ ও জাতির শত্রু,তারা দেশের উন্নয়ন চান না। বিদেশের ২ মন্ত্রীর বাংলাদেশের সফরে এসেছেন, তাদের কাছে বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে যে সমস্ত কথাবার্তা বলেছেন তা দেখে মনে হয় বিরোধীদল দেশের উন্নয়ন চায় না,বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণ চায় না, তাই তারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে। বিরোধী দল যত চক্রান্তই করুক না কেন জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করবে। বিরোধী দলের কোন ষড়যন্ত্রই যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে পারবে না। বিরোধী দল বিএনপি আরও একটি ১/১১ চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। বিএনপি’র জন্ম অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে ক্যান্টনমেন্ট থেকে যে দলের জন্ম সে দলকে বলা যায় অবৈধ জন্ম। একটি অবৈধ রাজনৈতিক দলের কাছে জাতি কখনো ভালো কিছু আশা করে না। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে হত্যা,গুমের রাজনীতি শুরু করেছিল। জিয়াউর রহমান শত শত মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করেছিল এবং যুদ্ধাপরাধীদের রাজনৈতিকভাবে পূর্ণবাসিত ও জঙ্গীবাদ,মৌলবাদ শক্তির উত্থান ঘটিয়েছিল। বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী চক্রকে একত্রিত করে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বহু ত্যাগের বিনিময় অর্জিত এইদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিনত করতে হবে। দলমতের পার্থক্য থাকলেও দেশের বৃহত্তম স্বার্থে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ আজ মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের গণ্যমান্য নেতারা আজ আমাদের দেশে সফর করছে,এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার যখন শুরু হয়েছে ঠিক সেই মুহূর্তে বিএনপি একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার পর বার বার বিএনপি নেতারা সরকারকে ইলিয়াস আলীকে উদ্ধার করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। অথচ ইলিয়াস আলীর সঙ্গে কাদের কাদের সম্পর্কের তথ্য তারা সরকারকে দিচ্ছে না। ইলিয়াস আলী কোথায় আছে? বিএনপি’র কাছে যদি এমন কোন তথ্য থাকে তাহলে সরকারকে দিক। ইলিয়াস আলীকে রাজনৈতিক ইস্যু না বানিয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য সরকারকে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করুন। তিনি বিএনপি জামাতের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তি ও সমমনা দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।