বার্তা৭১ ডটকমঃ নেপালের কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রীদের স্বজন-পরিজন জড়ো হয়েছেন ইউএস বাংলার কর্পোরেট অফিসের সামনে। রাজধানীর বারিধারায় বেসরকারি বিমান সংস্থাটির কার্যালয় অবস্থিত। বিমানে থাকা যাত্রীদের স্বজনরা সোমবার বিকালে কার্যালয়টির সামনে জড়ো হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এসময় দুর্ঘটনা পরবর্তী অবস্থা জানতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ উম্মে সালমার ভাই আবুল কালাম আজাদ ইউএস বাংলার অফিসে আসেন।
সাংবাদিকদের তিনি জানান, তিনদিনের দাপ্তরিক সফরে সোমবার ইউএস বাংলার বিমানে কাঠমান্ডু যান তার বোন। বিমান দুর্ঘটনার খবর শুনে তিনি এখানে আসছেন।
এসময় বোনকে জীবিত পাবেন কিনা শঙ্কা প্রকাশ করে আহাজারি করতে থাকেন। তার বোনের সঙ্গে একই বিমানে একই অফিসের কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী প্রধান নাজিয়া আফরিন চৌধুরী ছিলেন বলেও জানান তিনি।
নেপালে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস বাংলার বিমানে পরিকল্পনা বিভাগের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) দুই নারী কর্মকর্তা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জিইডির সদস্য ড. সামসুল আলম।
তিনি বলেন, তাদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর রাখছি। কিন্তু নেপাল দূতাবাস এখন পর্যন্ত কিছুই জানাতে পারেনি।
সোমবার দুপুরে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। ফ্লাইটটিতে ৬৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক, দুই শিশু এবং পাইলট ও চারজন ক্রু ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৩ জন বাংলাদেশি, ১ জন মালদ্বীপের নাগরিক, ১ জন চাইনিজ বাকিরা নেপালের যাত্রী। সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২ টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।