আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলার শক্তিও রয়েছে আওয়ামী লীগের। আসলে তিনি তার এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিরোধী দলকে হুঁশিয়ার করলেন। আজ শনিবার গণভবনে সাতক্ষীরার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন।
ঘূর্ণিঝড় আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত এই জেলার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে শেখ হাসিনা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার কথা বলার পর মনুষ্যসৃষ্ট ‘দুর্যোগের’ কথাও বলেন। “মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলার শক্তি ইনশাল্লাহ আওয়ামী লীগ রাখে,” যোগ করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় নেতা এম ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে বিরোধী দলের হরতালের সমালোচনা করে তিনি বলেন,হরতাল দিয়ে বিএনপি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। এছাড়াও সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অসাংবিধানিকভাবে আর কেউ ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না।”
শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার নেতাদের বলেন,সরকার গ্রামের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্য আওয়ামী লীগের।
কৃষি ভর্তুকি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আপদকালীন সময়ে খাদ্য মজুদ রাখতে নতুন গুদাম তৈরির কথাও জানান তিনি।
সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরার পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সমালোচনাও করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন,“তারা ক্ষমতায় থাকতে দেশের পরিস্থিতি এমন খারাপ জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল যে সেনাবাহিনী নামিয়ে অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে মানুষ হত্যা করে। এরপর, এই হত্যাকাণ্ডের যেন কোনো বিচার না হয়, সেজন্য ইনডেমনিটি দেয়। এরপর র্যাব গঠন করে ক্রসফায়ারে মানুষ হত্যা করে। এভাবেই তারা ক্ষমতায় টিকে ছিল।”
জনকল্যাণে নেওয়া সরকারি পদক্ষেপ মানুষের কাছে তুলে ধরতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “আপনাদের ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে। দেশকে কতটুকু দিতে পারলাম, সেটাই বিবেচ্য। কতটুকু পেলাম, সেটা বিবেচ্য নয়।”
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারাও অংশ নেন।