বার্তা৭১ ডটকমঃ বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা ইরফান খান স্নায়ুকোষের টিউমারে আক্রান্ত। গত শুক্রবার টুইটারে ইরফান নিজে তার এই রোগের কথা জানান। তার রোগের নাম ‘নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমার’। জটিল এই অসুখের চিকিৎসা নিতে তার দেশের বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অসুস্থ হওয়ার আগে বিশাল ভরদ্বাজের ‘স্বপ্না দিদি’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হন এই নায়ক।
এখানে তার বিপরীতে নায়িকা হবেন দীপিকা পাড়ুকোন। ইরফান খানের দুরারোগ্য ব্যাধির খবর ছড়ানোর পর অনেকেই নতুন এই ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান।
সোমবার সকালে পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ জানান, ইরফানকে নিয়েই শুরু করবেন তার এই ছবির শুটিং, তবে অবশ্যই নায়ক সুস্থ হয়ে ফেরার পর।
বিশাল আজ সকালে টুইটারে লিখেছেন, ‘ইরফান একজন যোদ্ধা। আমরা জানি, তিনি এই যুদ্ধ জিতেই ফিরবেন। এ জন্য দীপিকা পাড়ুকোন, ছবির প্রযোজক প্রেরণা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ক্রিআর্জ এবং আমি ছবির কাজের নতুন শিডিউল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আমরা শুরু করব নতুন উদ্যমের সঙ্গে, যখন আমাদের যোদ্ধা (ইরফান খান) জয়ী হয়ে ফিরবেন।’
এদিকে ইরফানের ‘পিকু’ ছবির সহশিল্পী দীপিকা পাড়ুকোনও তাঁর জন্য শুভকামনা চেয়েছেন। এই মুহূর্তে তার পরিবারের গোপনীয়তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার অনুরোধ করেন এক টুইটে। এর আগে ইরফান খানের জন্ডিস ও দীপিকার ঘাড়ব্যথার জন্য দুই দফা পেছায় ছবির শুটিং।
ইরফান গত শুক্রবার টুইটারে লিখেছিলেন, হঠাৎ করে ঘটা কোনো ঘটনা আমাদের বড় করে দেয়। কয়েক দিন ধরে ঠিক এটাই হচ্ছে। আমার নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমার ধরা পড়েছে। আমার চারপাশে যত শক্তি এবং ভালোবাসা দেখতে পাচ্ছি, তাতে আশার আলো দেখছি। চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাচ্ছি। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, শুভেচ্ছা পাঠাবেন। নিউরো কিন্তু সব সময় ব্রেনসংক্রান্ত বিষয় নয়। রিসার্চের জন্য গুগল করাটা সবচেয়ে সুবিধার। যারা আমার কথার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন, তাদের বলব, আমি আশা করছি, অনেক গল্প নিয়ে ফিরে আসব।
৬ মার্চ টুইটারে ইরফান খান লিখেছেন, তিনি বিরল রোগে আক্রান্ত! কিন্তু রোগটা কী, তখন তা তিনি জানাননি। এরপর তার রোগ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে নানা কথা শোনা যায়। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে তার স্ত্রী সুতপা শিকদার অহেতুক গুজব না ছড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবাইকে ইরফানের জন্য প্রার্থনা করতে অনুরোধ করেন। তিনি আরো লিখেন, আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু ও সঙ্গী একজন যোদ্ধা। ও খুব সুন্দরভাবে এবং দুর্দান্ত ভঙ্গিতে সব প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করছে। আপনাদের খুদে বার্তার জবাব এবং ফোনকল নিতে না পারার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি সারা বিশ্ব থেকে সবার প্রার্থনা, উদ্বিগ্নতা ও শুভেচ্ছাবার্তা পেয়ে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।