বার্তা৭১ ডটকমঃ জিততে হলে দল হয়ে খেলতে হতো রাশিয়ার। কিন্তু দলগত ফুটবল প্রদর্শন করলো ব্রাজিল। নেইমার বিহীন ব্রাজিল কোচ তিতেকেও সাজাতে হতো দল হয়ে খেলার ছক। সেই কৌশলে বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার ব্রাজিল সফল হয়েছে। জুনে অনুষ্ঠিত রাশিয়া বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যে স্টেডিয়ামে সেই ‘লুঝনিকি’ জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মহড়া শুরু করল ব্রাজিল। স্বাগতিক রাশিয়াকে হারালো ৩-০ গোলের ব্যবধানে।
ব্রাজিল সমর্থকদের মনে যদি কোন আফসোস থাকে তবে তা কেবল নেইমারের না খেলা নিয়ে। ফলাফলে নিশ্চয় খুশি ভক্তরা। তবে শুরু থেকেই রাশিয়াকে চেপে ধরলেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কৌটিনহো-পাউলিনহোরা। তখন হয়তো নেইমারের অভাবটা বেশি অনুভব হয়েছে। নেইমার ছাড়া এই ব্রাজিল গোল করতে পারে না এমন প্রশ্নও উঠেছে। কিন্তু সেই ধারণা ম্যাচের ৫৩ থেকে ৬৬ মিনিটের মধ্যেই পাল্টে দিল সেলেসাওয়ারা। রাশিয়াকে দেখালো সাম্বা নৃত্যের আসল রূপ।
৫৩ মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে প্রথম গোলটি আসে ডিফেন্ডার মিরান্দার সুবাদে। তার ১০ মিনিট পরেই পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুন করে চলতি মৌসুমে বার্সেলোনায় নাম লেখানো ফিলিপে কৌটিনহো। কৌটিনহোর পরেই মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে বার্সেলোনার আরেক ফুটবলার পাউলিনহো হেড থেকে ব্যবধান তিনে নিয়ে যান।
১৩ মিনিটের তিন গোল খা্ওয়া রাশিয়া শেষ পর্যন্ত কয় গোল হজম করে সেই প্রহর হয়েতো গুনতে বসেছিল সমর্থকরা। কিন্তু পরে আর গোল পায়নি তিতের দল। পুরো ম্যাচে অবশ্য ব্রাজিল যে আধিপত্য নিয়ে খেলেছে তাতে কোচের খুশি হওয়ারই কথা। ম্যাচের ৬৩ ভাগ বল নিজেদের পায়ে রেখে খেলেছে মার্সেলো-উইলিয়ানরা। গোলে শট নিয়েছে ২০ টা যেখানে রাশিয়ার শট মাত্র ছয়টা। সেলেসাওয়ারা ৬৬৭ পাসের পসরা সাজিয়েছে মাঠে। আর স্বাগতিক রাশিয়ার পাস ৩৮১ টা। সব মিলিয়ে ফেরারিটের মতোই খেলেছে ব্রাজিল।