বার্তা৭১ ডটকমঃ বলিউড সুপারস্টার সালমান খান ‘মুসলিম বলেই’ কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
খাজা আসিফ বলেন, সালমান সংখ্যালঘু হওয়ার কারণেই তাকে জেল দেওয়া হয়েছে। হয়তো ক্ষমতাসীন দলের ধর্মের লোক হলে তার প্রতি এমন অমানবিক আচরণ করতো না ভারত সরকার। এমনকি আদালতও তার প্রতি আরো বিনয়ী হতো।
খাজা আসিফ আরো বলেন, ভারতে সংখ্যালঘুদের জন্যই রায় ঘোষণা করা হয়। ২০ বছর পুরনো একটি মামলায় এমন কঠোর শাস্তি ভারতের মুসলিমদের প্রতি প্রতিহিংসার একটি দৃষ্টান্ত উদাহরণ। এতে খুব সহজেই বোঝা যায়, ভারতে ইসলাম ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের কোন মূল্য নেই।
বিলুপ্তপ্রায় কৃষ্ণসার প্রজাতির হরিণ শিকার মামলায় দোষী সাব্যস্ত সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার রুপি জরিমানা করে ভারতের যোধপুর আদালত। গতকাল রায় শেষে যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার ২৮ জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে প্রধান বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দেব কুমার খত্রি এ রায় দেন। এর আগে গত ২৮ মার্চ মামলার চূড়ান্ত আবেদন যোধপুরের একটি গ্রাম্য আদালতে সম্পন্ন হয়।
এই মামলায় সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ে যোধপুর প্রদেশের কাঙ্কানি গ্রামে গিয়েছিলেন। শুটিং চলাকালে ১ ও ২ অক্টোবর রাতে আলাদা আলাদা দুটি জায়গায় সালমান কৃষ্ণসার শিকার করেন।
পিটিআই-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দাবাং খান ভারতীয় বন্যপ্রাণী প্রতিরক্ষা দণ্ডবিধির ৫১ ধারার সম্মুখীন হয়েছেন। এই ধারা মোতাবেক তার সর্বোচ্চ ছয় বছর পর্যন্ত জেল হতে পারতো।