বিশ্বের শীর্ষ একটি জনমত জরিপকারী প্রতিষ্ঠানের জরিপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডের প্রতি ৭৭ শতাংশ বাংলাদেশীর আস্থা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
জরিপটিতে সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে এশিয়ার নেতাদের মধ্যে প্রথম কাতারেই রয়েছেন দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার পরিচালনাকারী শেখ হাসিনা। তালিকায় তার অবস্থান সপ্তম।
জরিপে অংশ নেয়া ১৯ শতাংশ মানুষ তার ওপর নাখোশ বলে জানিয়েছে। মন্তব্য করেনি ৪ শতাংশ মানুষ। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্যালআপের এই জরিপে হাসিনা পেছনে ফেলেছেন প্রতিবেশী ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জন ফিলিপ কি, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ইউধোইয়োনো, ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী নুয়েন টান ডাং, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ডকেও। এশিয়ার সবচেয়ে শিল্পোন্নত দেশ জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোডার অবস্থানও তার পেছেনে।
উল্টো অবস্থা পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির। তালিকায় সর্বশেষ অবস্থানটি তার। দেশটির মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ মনে করে জারদারি ঠিক পথে আছেন। আর তার প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে ৭৭ শতাংশ মানুষ। ২১টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের কার্যক্রমের ওপর জনগণের মনোভাব নিয়ে জরিপটি করা হয়েছে।
ভারতের ৫৯ শতাংশ মানুষ মনে করে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ঠিক পথে চলছেন। আর প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকোর প্রতি আস্থা রেখেছে মাত্র ৪৪ শতাংশ জাপানি। প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ডের কাজের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ৪৫ শতাংশ মানুষ। আর জন কি’র প্রতি সমর্থন আছে নিউজিল্যান্ডের ৭২ শতাংশ মানুষের।
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জনগণের আস্থা অর্জনের দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন লাওসের প্রেসিডেন্ট চৌমালি সায়াগনাসন। তার দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ মনে করেন তিনি সঠিক কাজ করছেন। এরপরই কম্বোডিয়ার হুন সেন, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ রাজাপাকসে, সিঙ্গাপুরের লি হিয়েন লুং, ফিলিপাইনের বেনিনো আকিনো ৩ ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব তুন রাজ্জাকের প্রতি জনগণের সমর্থন বেশি। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছেন। ২০১১ সালের ৫ই এপ্রিল থেকে ৪ঠা ডিসেম্বরের মধ্যে এ জনমত যাচাই করা হয়েছে। প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রে এক হাজারের মতো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সঙ্গে সরাসরি বা টেলিফোনে কথা বলে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে।