ইউক্রেনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, আনুমানিক ৪ হাজার ৩০০ রাশিয়ান সৈন্যকে হত্যা করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে হানা মালইয়া বলেন, সঠিক সংখ্যাটি বের করা হচ্ছে। এসময় তিনি ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতে রুশদের ১৪৬টি ট্যাংক, ২৭টি যুদ্ধবিমান এবং ২৬টি হেলিকপ্টার ধ্বংসের দাবি করেন।
তবে এসব দাবির বিপরীতে কিছুই বলেনি মস্কো। আল জাজিরা জানায় তাদের পক্ষেও ইউক্রেনীয় সেনাদের দাবিটি যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সময় রোববার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে রকেট হামলার খবর পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে শহরের প্রধান সড়কগুলোতেও চলছে দুপক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এরই মধ্যে তেলের ডিপোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি গ্যাস পাইপলাইন উড়িয়ে দিয়েছে রুশ সেনারা। এদিকে, সাড়ে তিন হাজার রুশ সেনা হতাহত হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের।
রোববার রাতেও ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ইউক্রেন। রাজধানী কিয়েভের পর সামরিক অভিযানের চতুর্থ দিনে দেশটির দ্বিতীয় প্রধান শহর খারকিভে প্রবেশ করে রুশ সেনারা। স্থানীয় সময় রোববার সকাল থেকেই সেখানে দফায় দফায় রকেট হামলা চালায় রুশ বাহিনী। পরপর দুটি রকেট হামলায় শহরটির একটি নয়তলা আবাসিক ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্যাস পাইপলাইন উড়িয়ে দেয় পুতিন বাহিনী। এতে ভবনটিতে থাকা বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া কিয়েভের ত্রিশ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত আরেক শহর ভাসিলকিভে একটি তেলের ডিপোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় মস্কো।
একইদিন (২৭ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, ইউক্রেনে রুশ সেনার লড়াইয়ের বীরত্বের প্রশংসা করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এদিকে রুশ সংবাদ সংস্থাগুলোকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে।