কালো মেঘে মেঘে মুছে যেতে থাকে সকালের আলো। আজ বুধবার (২০ এপ্রিল) সকাল পৌঁনে ৭টার দিকে যেন অদ্ভুত সন্ধ্যা নামে এ নগরে। ৭টা বাজতে কিছু বাকি থাকতেই শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়। তীব্র ঝড়ে যেন ওলট-পালট হয়ে যাবে সবকিছু। বিজলি চমকানোর সঙ্গে মুহুর্মুহু বজ্রপাতের শব্দে সময়টা রূপ নেয় ভয়ংকর সকালে।
তবে বৃষ্টি নিয়ে আসে প্রশান্তি। গত কিছুদিন ধরে ভ্যাপসা গরমে নাগরিকদের যে হাঁসফাঁস, স্বস্তি মিলে সেই অবস্থা থেকে। তাই, সেহরি খেয়ে শেষ রাতে বিছানায় যাওয়া রোজাদার নগরবাসীর সকালের ঘুমটা ভালোই হয়েছে! বজ্রের গর্জন থাকলেও সকাল পৌঁনে ৮টার দিকে ঝড়-বৃষ্টি অনেকটাই কমে যায়।
আবহাওয়া অফিস থেকে জানা যায়, দেশের আটটি জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস রয়েছে। এক্ষেত্রে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমে গিয়ে তাপপ্রবাহ কিছুটা প্রশমিত হতে পারে।
পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
এই অবস্থায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং কুমিল্লা অঞ্চলসহ রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দুই/এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।