বার্তা৭১ ডটকমঃ আসরের এক বছর বাকী থাকতেই প্রকাশিত হয়েছে সময়সূচি। ইংল্যান্ডের দ্য ওভালে ৩০ মে স্বাগতিক ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ১২তম বিশ্বকাপের সূচনা। ২ জুন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে বাংলাদেশ। ফাইনাল হবে ১৪ জুলাই লর্ডসে। বিশ্বকাপ উপলক্ষে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দলগুলো। টাইগার ওয়ানডে ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মুর্তজা বলছেন, আসন্ন বিশ্বকাপে সব দলকেই চ্যালেঞ্জ জানাবে টিম টাইগার। একইসঙ্গে তিনি বিশ্বকাপ অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ হবে বলেও মন্তব্য করেন।
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের সূচির মতই কার্বনকপি আসন্ন টুর্নামেন্টটি। অংশ নেওয়া ১০টি দলই একে অপরের বিপক্ষে খেলবে। লিগ পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চার দল সুযোগ পাবে সেমিফাইনাল খেলার। সেমির লড়াই জিতে শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে লড়বে সেরা দুই দল।
আসন্ন বিশ্বকাপের ফরম্যাটটি পুরনো হলেও বাংলাদেশের কাছে তা নতুন। কারণ বিশ্বকাপের এক আসরে অংশ নেওয়া সব দলের বিপক্ষে লিগ পর্বে খেলার অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের। তাই নতুন ফরম্যাট নিয়ে বেশ উচ্ছসিত বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘ফরম্যাটের কারণেই বেশি প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ বিশ্বকাপ হবে ১২তম আসরটি। আমার মতে, এই প্রথমবার দশটি দলই নিজেদেরকে শেষ চারে দেখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবে এবং নির্দিষ্ট দিনে যে কোন দল যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে।’
আইসিসির ইভেন্টে বাংলাদেশের সুখস্মৃতি রয়েছে। গত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত শেষ চারের লড়াইয়ে ভারতের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় তারা। এছাড়া ভালো প্রস্তুতি থাকলে আগামী বছরের বিশ্বকাপে ভালো পারফরমেন্স করার ব্যাপারে আশাবাদী মাশরাফি।
তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসে আমাদের দারুণ কিছু স্মৃতি রয়েছে। ইংল্যান্ডের মাটিতে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছি আমরা। এসব বাংলাদেশের ক্রিকেটের সেরা মূহূর্ত। এছাড়া গত বছর আমরা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালেও খেলেছিলাম। এই সাফল্যগুলো আমাদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দেবে।’
ইংল্যান্ডের কন্ডিশন নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘সেখানকার কন্ডিশনের ব্যাপারে আমাদের ভালো ধারণা রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের বড় একটি কমিউনিটি রয়েছে যারা জাতীয় ক্রিকেট দলকে সমর্থন যোগাবে ও উৎসাহ দেবে। আমরা সেখানে খেলে সবসময়ই আনন্দ পাই। ভালো সুযোগ-সুবিধা থাকার কারণে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুতিও নিতে পারি। আমি আত্মবিশ্বাসী, আমাদের প্রতিপক্ষ দলগুলোকে আগামী বিশ্বকাপে ভালো চ্যালেঞ্জ জানাতে পারব।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের মিশন শুরুর পর ৫ জুন নিউজিল্যান্ড, ৮ জুন ইংল্যান্ড, ১১ জুন শ্রীলঙ্কা, ১৭ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০ জুন অস্ট্রেলিয়া, ২৪ জুন আফগানিস্তান, ২ জুলাই ভারত এবং ৫ জুলাই পাকিস্তানের বিপক্ষে লিগ পর্বে খেলবে বাংলাদেশ।
১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মত ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। এরপরের সবগুলো বিশ্বকাপই খেলেছে টাইগাররা। এখন পর্যন্ত ৩২টি ম্যাচে ১১টি জয়, ২০টি হার ও ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। পাঁচবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে নিজেদের সেরা অর্জন গত বিশ্বকাপেই পায় বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে হওয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে মাশরাফির নেতৃত্বাধীন লাল সবুজের দল।