এ.জেড.এম. আবদুল্লাহ আল মাসুম,বার্তা৭১ ডটকমঃ নবগঠিত প্রতিটি ওয়ার্ডই আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এসব এলাকার জনসাধারণ যেন সিটি কর্পোরেশনের সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করবে ডিএনসিসি।
মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সম্প্রসারিত এলাকার বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। নগর ভবনে প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গনির সভাপতিত্বে এই সভা হয়। সভায় সম্প্রসারিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা স্ব স্ব এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।
সভায় জানানো হয়, নবগঠিত প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ঈদগাহ, শিশু পার্ক, কমপক্ষে তিনটি বর্জ্য সেকান্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস), তিনটি পাবলিক টয়লেট এবং ওয়াসার পাম্প/বিদ্যুতের উপকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এ জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে ২৩ দশমিক এক একর জায়গার প্রয়োজন হবে। তাছাড়া নবগঠিত পাঁচটি অঞ্চলের প্রতিটির জন্য একটি আঞ্চলিক কার্যালয়, কমপক্ষে একটি কমিউনিটি সেন্টার, একটি আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টার, একটি কেন্দ্রীয় এসটিএস, একটি শিশু পার্ক, একটি কবরস্থান, একটি শ্মশান ঘাট, একটি মার্কেট, কমপক্ষে একটি ঈদগাহ ও একটি সাংস্কৃতিককেন্দ্র নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি অঞ্চলের জন্য ২৫ দশমিক ৪০ একর জায়গা লাগবে।
এ ছাড়া সম্প্রসারিত এলাকাগুলোর জন্য একটি স্থায়ী পশুর হাট ও একটি ল্যান্ডফিল স্থাপন করা হবে। এ জন্য মোট ৬০ একর জায়গার প্রয়োজন হবে। সম্প্রসারিত এলাকায় বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের জন্য সর্বমোট ৬০২ দশমিক ৮০ একর জায়গা লাগবে।
এদিকে সম্প্রতি স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে দৈনন্দিন ও অন্যান্য সেবামূলক কার্যক্রম নিশ্চিতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সম্প্রসারিত অংশে নবগঠিত ৩৬টি ওয়ার্ডকে দশটি অঞ্চলে বিভক্ত করার সরকারি আদেশ জারি করা হয়।
এর মধ্যে উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড অঞ্চল-৬; ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০ নম্বর ওয়ার্ড অঞ্চল-৭; ৪৪, ৪৫, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড অঞ্চল-৮; ৩৯, ৪০, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড অঞ্চল-৯ এবং ৩৭, ৩৮, ৪১, ৪২ নম্বর ওয়ার্ড অঞ্চল-১০ এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৬ সালের ৯ মে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটিতে (নিকার) ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে ৮টি করে ইউনিয়ন যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর মধ্যে ডিএনসিসি’র অন্তর্ভুক্ত বাড্ডা, ভাটারা, সাতারকুল, বেরাইদ, ডুমনি, উত্তরখান, দক্ষিণখান ও হরিরামপুর ইউনিয়নকে ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়।
প্যানেল মেয়র ওসমান গনি বলেন, সম্প্রসারিত এলাকাগুলো সুপরিকল্পিতভাবে আধুনিক নগরীতে রূপান্তরিত করা হবে। এসব এলাকার জনসাধারণ যেন সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারেন সে লক্ষ্যে সরকার শুরু থেকেই সচেতন।
এদিকে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন জানান, নবগঠিত প্রতিটি ওয়ার্ডে আধুনিকায়নের পাশাপাশি খেলার মাঠ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ঈদগাহ, শিশু পার্ক সহ অন্যান্য সব কিছু নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে জায়াগা খোঁজার কাজ শুরু করেছি।
মতবিনিময় সভায় ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র সদস্য জামাল মোস্তফা, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।