বার্তা৭১ ডটকমঃ পুঁজিবাজারে সিকিউরিটিজ হাউস ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নগদ লেনদেন ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত করার দাবি জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। বর্তমানে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ লেনদেন করা যায়।
বুধবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের কাছে লিখিতভাবে এ প্রস্তাব দিয়েছে ডিবিএ।
ডিবিএ সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, সিকিউরিটিজ হাউস বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শেয়ার ক্রয়ে একদিনে নগদ পাঁচ লাখ টাকার বেশি অর্থ গ্রহণে সিকিউরিটিজ আইনে নিষেধাজ্ঞাসহ শাস্তির বিধান রয়েছে। ওই বিধানটি অনেক বছর থেকে অব্যাহত রয়েছে। যা বিনিয়োগকারী ও ব্রোকারের ব্যবসা তথা শেয়ারবাজার উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে আসছে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক সকল ব্যাংকগুলোতে নগদ লেনদেনে ১০ লাখ টাকা আগেই কার্যকর করেছে।
ডিবিএ সভাপতি চিঠিতে উল্লেখ করেন, পাঁচ লাখ টাকার অধিক নগদ অর্থ গ্রহণের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিনিয়োগকারী তার কাঙিক্ষত শেয়ার নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট দরে ক্রয় করতে ব্যর্থ হন। এতে অনেক সময় বিরক্ত হয়ে শেয়ার ক্রয়ে আগ্রহ হারাচ্ছে তারা। অন্যদিকে বিনিয়োগকারী চাহিদা মাফিক শেয়ার ক্রয়ে ব্যর্থ হওয়ায় ব্রোকারেজ হাউসের দৈনিক লেনদেন হ্রাস পেয়ে কমিশন আয়ে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। এতে বিনিয়োগকারী ও ব্রোকারেজ হাউস উভয়েই ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিষয়টি অর্থ গ্রহণে ও শেয়ার লেনদেনে সরাসরি বাধা তৈরি করে। যা বিনিয়োগকারী ও ব্রোকারদের পাশাপাশি বাজার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতেও বাধার সৃষ্টি করে।
বর্তমান বাজার মূলধন, বাজারের গতি, প্রকৃতি, ধরন, আকার, ব্যাপ্তি, বিনিয়োগকারীর ধরন, সামর্থ্য, অর্থ আয়ের উৎস ও প্রবাহ, দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি, মানদণ্ড, আকারসহ জনগণের সামর্থ্যের বিবেচনায় বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সিকিউরিটিজ হাউসে নগদ অর্থ গ্রহণের পরিমাণ পাঁচ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা করা প্রয়োজন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।