বার্তা৭১ ডটকমঃ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সমাজবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। ধর্ষণের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
দেশের সব নাগরিকের জন্য নিরাপদ চলাচল এবং নারীর প্রতি সহিংসতা ও নিন্দনীয় অপকর্ম রুখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার (৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ধর্ষণ নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় অপরাধ ও সামাজিক ব্যাধি। এসব চরম ঘৃণিত কাজের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা বিকৃত রুচির অপরাধী। সরকার এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিচ্ছে। তবু এ ধরনের ঘটনা দেশের কোথাও না কোথাও ঘটছে। সম্প্রতি পাশের দেশেও এমন ঘটনা তীব্র আকার ধারণ করেছে।
অপরাধীদের প্রশ্রয় না দিয়ে আইনের আওতায় আনতে সবার প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সব ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করার কোনো প্রয়োজন নেই। অন্তত্য এ ধরনের একটা ইস্যু নিয়ে আমরা রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক, সেচ্ছাসেবী সংগঠন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটা সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
ধর্ষণসহ নারী নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনায় ছাত্রলীগসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নাম আসছে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, এটার দায় তো আমরা এড়াতে পারি না। সরকার ক্ষমতায়, সরকার কি করে দায় এড়াবে। সরকার এটাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না। প্রত্যেকটি বিষয়ে সরকার দায়িত্ব নিচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ ধরনের ঘটনায় যারাই জড়িত, তারা যদি আমাদের দলীয় পরিচয়েও থাকে অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে, শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এটি শুধু মুখে বলা হচ্ছে না, বাস্তবেও কার্যকর করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, রিফাত হত্যা মামলার রায় হয়ে গেলো, ফেনীর নুসরাতের রায় হলো। এগুলোর বিচার তো হচ্ছেই। সব ব্যাপারেই শাস্তি হবে। ওয়াহিদার ওপর হামলা হয়েছে, সে ব্যাপারেও তো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দলীয় পরিচয়ের নামও শোনা গেছে, কিন্তু কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি। আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে প্রায় প্রত্যেকেই ছাত্রলীগের পরিচয়ে ছিলো। কিন্তু তাদেরর কি শাস্তি থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে? নাকি তাদের চার্জশিট থেকে বাইরে রাখা হয়েছে?