বার্তা৭১ ডটকমঃ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখার কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সোমবার (৯ নভেম্বর) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে স্মারক বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশকে জানতে হলে, বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। এই দুই সত্তাকে আলাদাভাবে দেখার চেষ্টা যারা করেছেন, তারা ব্যর্থ হয়েছেন। আজকের বাস্তবতা এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
সংগঠন গড়ে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধু মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা মানুষ কতটা সেক্রিফায়েস করতে পারে তার উদাহরণ বঙ্গবন্ধু। সংগঠন গড়ে তোলার জন্য তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। তার দেশপ্রেম বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে।
এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়। বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সত্তা, একটি ইতিহাস। জীবিত বঙ্গবন্ধুর মতই অন্তরালের বঙ্গবন্ধু শক্তিশালী। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি থাকবে, এদেশের জনগণ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু সকলের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।
তিনি বলেন, নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের ‘মুক্তির আলোকবর্তিকা’ হয়ে বঙ্গবন্ধু বিশ্বকে করেছেন ‘আলোকময়’। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধুর নীতি, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বেড়ে উঠতে পারে, সে লক্ষ্যে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন এক বিশাল হৃদয়ের মানুষ। নিজে স্বপ্ন দেখতেন এবং মানুষকে স্বপ্ন দেখাতেন। দেশের মানুষের প্রতি তাঁর আস্থা, ভালোবাসা ও বিশ্বাস ছিল অপরিসীম। নিজের জীবন উৎসর্গ করে বাংলার মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান দিয়ে গেছেন। ঋণী করে গেছেন বাঙালি জাতিকে। জাতির পিতার আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে জাতি এগিয়ে যাক ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে, নোঙ্গর ফেলুক বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলায়’।