বার্তা৭১ ডটকমঃ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন জর্জিয়ায় ভোট পুনর্গণনাতেও জয়ী হতে চলেছেন। এ অঙ্গরাজ্যে জিতলে তার মোট ইলেকটোরাল ভোট দাঁড়াবে ৩০৬টি। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হওয়া তার জন্য এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির পূর্বাভাস অনুসারে, ফল ঘোষণা বাকি থাকা জর্জিয়ায় বাইডেন এবং নর্থ ক্যারোলাইনায় ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন। নর্থ ক্যারোলাইনায় জিতলে ট্রাম্পের ঝুলিতে জমা হবে মোট ২৩২টি ইলেকটোরাল ভোট।
২০১৬ সালের নির্বাচনে একই ব্যবধানে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প। তখন এটিকে নিরঙ্কুশ বিজয় বলে ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তবে এবারের নির্বাচনে এখনও পরাজয় স্বীকার করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে আইনি লড়াই শুরু করেছে রিপাবলিকানরা। সেসব জায়গায় ব্যাপক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। যদিও এখন পর্যন্ত এর কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি।
অ্যারিজোনায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জয় অনেকটা সুনিশ্চিত দেখে গত শুক্রবার মামলা করেছে ট্রাম্পের দল।
দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান কম থাকায় জর্জিয়ায় আবারো ভোট গণনা চলছে। যদিও বাইডেন শিবিরের বিশ্বাস, এতে নির্বাচনের ফলাফলে কোনও পরিবর্তন ঘটবে না।
পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকার এবং ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় অসহযোগিতার অভিযোগে ক্রমেই চাপ বাড়ছে ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর।
গত ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজয়ের পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে এসে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আগামী জানুয়ারিতে নতুন সরকার গঠন হতে পারে। তবে কারা ক্ষমতায় থাকবে তা এখনও নিশ্চিত নয়।
হোয়াইট হাউসে করোনা টাস্কফোর্সের এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আমরা আর লকডাউনে যাব না। এই প্রশাসন লকডাউনে যাবে না। ভবিষ্যতে যা্-ই হোক, কে জানে কোন প্রশাসন থাকবে। আমার ধারণা, সেটা সময়ই বলে দেবে।
এর আগে টুইটারে একাধিক পোস্টে ৩ নভেম্বরের নির্বাচনকে অস্বচ্ছ বলে অভিযোগ করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যদিও মার্কিন নির্বাচনী কর্মকর্তারা তার এ দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের কথায়, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সুরক্ষিত নির্বাচন হয়েছে এবার।