বার্তা৭১ ডটকমঃ কুয়েতে অর্থ ও মানব পাচারের দায়ে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের কারাদণ্ড হওয়া বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় প্রথম বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমেটিক টেনিস টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, পাপুল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন না, উনি স্বতন্ত্র ছিলেন। পাপুল যে কাজ করেছেন এটা অবশ্যই লজ্জাজনক।
তিনি আরো বলেন, রায়ের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি কুয়েত সরকার। কুয়েত সরকার উনার সম্পর্কে আমাদেরকে কিছু বলেনি। প্রথম দিকে জানতে চেয়েছিলাম, তারা তখন রেসপন্ড করেনি। এখন আমরা সরকারিভাবে জানার জন্য আমাদের রাষ্ট্রদূতকে নির্দেশনা দিয়েছি। বিষয়টি সরকারিভাবে জানলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, কুয়েত সরকার আমাদের জানালে আমরা সংসদকে জানাব। তখন বিধি মোতাবেক উনার (এমপি পাপুল) সম্পর্কে কী করা হবে, দেখব।
প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের সেখানে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।
পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন।
এরপর বৃহস্পতিবার অর্থ ও মানবপাচারের মামলায় পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে কুয়েতের আদালত। কুয়েতের ফৌজদারি আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল ওসমান এ রায় ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের কোনো আইনপ্রণেতার এভাবে বিদেশে দণ্ডিত হওয়ার ঘটনা আর কখনো ঘটেনি।
আল-কাবাস ও আল-রাইয়ের খবরে বলা হয়, পাপুলের কাজে সহায়তাকারী হিসাবে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা মাজেন আল জারাহ এবং কুয়েতি দুই কর্মকর্তাকেও চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।ওই দুই কর্মকর্তা ছিলেন পাপুলের বিভিন্ন কাজের মধ্যস্থতাকারী এবং এজেন্ট। পাপুলসহ দণ্ডিত প্রত্যেককে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে ওই রায়ে।