বার্তা৭১ ডটকমঃ করোনা মহামারির নানা বাধা পেরিয়ে শুরু হলো বাঙালির প্রাণের উৎসব ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের মূল মঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এই মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইয়ের ইংরেজি অনুবাদ NEW CHINA 1952-এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
বিকেল ৩টায় সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। পরে সূচনা সংগীত শেষে ভাষা আন্দোলনের অমর শহীদদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এবারের বইমেলা উৎসর্গ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে।
বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। অনুষ্ঠানে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২০’ দেয়া হয়।
এদিকে দেশব্যাপী নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বইমেলা ঘিরে অনিশ্চয়তাও দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে যে কোনো সময়ই যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে জানিয়ে রেখেছেন আয়োজকরা।
এবারের বইমেলার মূল থিম ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’। বইমেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে ছুটির দিন মেলা শুরু হবে সকাল ১১টা থেকে। মেলা চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গাজুড়ে এবারের বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় এক ইউনিটের স্টল ২৮৬টি, দুই ইউনিটের স্টল ১
৪১টি, তিন ইউনিটের স্টল ৫৪টি ও চার ইউনিটের স্টল বরাদ্দ পেয়েছে ২৬টি প্রতিষ্ঠান। সব মিলিয়ে এবারের মেলায় ৫২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪ ইউনিট স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মেলায় রয়েছে ৩৩টি প্যাভিলিয়ন।
এবার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে ১৩৫টি লিটলম্যাগ, পাঁচটি উন্মুক্ত স্টলসহ মোট ১৪০টি স্টল দেওয়া হয়েছে। মেলায় বাংলা একাডেমির তিনটি প্যাভিলিয়ন এবং শিশু-কিশোর বই ও সাহিত্য মাসিক উত্তরাধিকারের জন্য একটি করে স্টল রাখা হয়েছে।