বার্তা৭১ ডটকমঃ কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীকে বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া মিলনায়তনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাসান মাহমুদ বলেন, আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি যারা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সৃষ্টির অপচেষ্টা অতীতে করেছে এবং বর্তমানেও করছেন তাদের কঠোর হস্তে দমন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এ ধরনের কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীকে বরদাস্ত করা হবে না। বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাজনীতি পরিহার করে সুস্থ রাজনীতির ধারায় ফিরে আসার জন্য।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আজকের দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, বিদেশিরা যখন বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানরা যখন বাংলাদেশে আসছেন, অনেক রাষ্ট্রপ্রধান ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মুজিব শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশ এগিয়ে যাওয়ার প্রশংসা করছেন, তখন দেশে নতুনভাবে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে, তারা আজকে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা সেটি এ ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ আরো বলেন, সুনামগঞ্জে হামলার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তড়িঘড়ি করে একটি বিবৃতি দিয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে একটু পেছনে ফিরে তাকানোর অনুরোধ জানাবো, তাকে অনুরোধ জানাবো আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখার জন্য।
ড. হাসান মাহমুদ বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর যেভাবে পুরোগ্রাম ঘেরাও করে কোটালীপাড়া, ভোলা, বরিশালের আগৈলঝাড়া, সিরাজগঞ্জসহ সারাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছিল, তার ফলে আমাদের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে লঙ্গরখানা খুলতে হয়েছিল। দেশের অন্যান্য জায়গায়ও আমাদের আশ্রয় কেন্দ্র খুলতে হয়েছিল। সংখ্যালঘুরা কেন নৌকায় ভোট দিলো এ কারণে তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছিল। অনেক নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কেন তার বাবা আওয়ামী লীগ করে, নৌকায় ভোট দেয়। এমন বহু ঘটনা ঘটেছে। তাদের ক্ষোভ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ব্যাপকভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আমাদের সমর্থন করে আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনার জন্য।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জিল্লুর রহমান পরিষদের সভাপতি এম এ করিম। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান খোকা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, অরুন সরকার রানা এবং জিল্লুর রহমান পরিষদের বিভিন্ন নেতারা।