বার্তা৭১ ডটকমঃ আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বিগত ১২ বছরে আমরা জাতির পিতার দেখানো পথ ধরেই হাঁটছি।গত মাসে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে।
সোমবার (২২ মার্চ) মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার ষষ্ঠ দিন সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে হবে। একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এ অঞ্চলকে দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-নেপাল দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের দুই দেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। আমাদের মধ্যে ভৌগলিক নৈকট্য ছাড়াও আমাদের রয়েছে প্রায় একই ধরনের ইতিহাস। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের অবস্থান প্রায় এক ও অভিন্ন। বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি, বিশেষ করে পানি-বিদ্যুৎ খাত, পর্যটন ও পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সহযোগিতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সব সময়ই শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই করেছেন। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তিনি ছিলেন সোচ্চার। তিনি চেয়েছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে। সবার অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা-শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা তাকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশের অগ্রগতি থেমে যায়।
একই অনুষ্ঠানে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি বলেন, আগামীতে বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। শুধু তাই নয়, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পর্যটনখাতে দুই দেশের অনেক কাজ করার রয়েছে।
নেপালের রাষ্ট্রপতি বলেন, শুধু আকাশপথ নয় বাংলাদেশের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথেও গতিশীল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দুদেশকে একসাথে তথ্য বিনিময় করতে হবে।