বার্তা৭১ ডটকমঃ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে দেশের ১৪৩টি কারখানা পরিবেশবান্ধব হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এর মধ্যে ৪১টি বাংলাদেশি পোশাক কারখানা ‘লিড প্লাটিনাম’ সনদ পেয়েছে। এছাড়া ‘লিড গোল্ড’ পেয়েছে ৮৯টি আর ‘লিড সিলভার’ পেয়েছে ১১টি। দুটি কারখানা পরিবেশ বান্ধব হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
শনিবার (১২ জুন) বিজিএমইএ আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ইউএসজিবিসি থেকে এ সনদ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফারুক হাসান বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাটাগরিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি কারখানার ৩৯টিই বাংলাদেশে অবস্থিত। আরো প্রায় ৫০০টি কারখানা সার্টিফিকেশনের অপেক্ষায় আছে। এই অর্জন সম্ভব হয়েছে দেশের তৈরি পোশাকশিল্প উদ্যোক্তাদের দূরদর্শিতা ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও উদ্যোগের কারণে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পোশাক খাতে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার পর আমরা শিল্পটিকে পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ নেই। গত প্রায় এক দশকে আমাদের উদ্যোক্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, নিরাপত্তা খাতে হাজার কোটি টাকা ব্যয় এবং সরকার-ক্রেতা-উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় আজ বাংলাদেশের পোশাকশিল্প একটি নিরাপদ শিল্প হিসেবে বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরি করেছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এ খাতে নিরাপদ, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নে গর্ব করার মতো কিছু অর্জন তুলে ধরতে চাই।
হংকংভিত্তিক আন্তর্জাতিক অডিট প্রতিষ্ঠান ‘কিউআইএমএ’-এর মতে এথিকাল সোর্সিংয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষস্থানে। মূলত গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনের গুণগত মান, কমপ্লায়েন্স, কর্মঘণ্টা ও শ্রম মানের বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন করে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি এমন একটি সময়ে এসেছে যখন করোনার মহামারির কারণে এ শিল্পে একটি সংকটময় সময় পার করছে। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও এই অর্জন নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
তিনি বলেন, লিঙ্গ বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রেও এ শিল্পে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি, কমপ্লায়েন্স, কারখানায় পেশাগত নিরাপত্তা বিধানেও বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। আর এসব অর্জনের মাধ্যমে আমরা আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা ধরে রাখতে সফল হয়েছি। বিশ্বে বাংলাদেশ তার দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।