বার্তা৭১ ডটকমঃ ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা এখনো ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের শেকড় মাটির অনেক গভীরে। কোনো ষড়যন্ত্রই আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ ও জনগণ থেকে দূরে সরাতে পারেনি ভবিষ্যতেও পারবে না। আরেকটা ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি করতে কুশীলবরা এখনো ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু সেই দিন আর আসবে না।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ দেশের রাজনীতির ইতিহাসে ওয়ান ইলেভেন একটি দুষ্ট ক্ষত। এ ক্ষত তৈরি হয়েছে বিএনপির হঠকারী এবং ক্ষমতালোভী রাজনীতির কারণে। ইয়াজউদ্দীন একদিকে রাষ্ট্রপতি অপরদিকে তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে বিএনপি একতরফা নির্বাচনের নীলনকশা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ওয়ান ইলেভেনের প্রেক্ষাপট তৈরি করে। এরপরই আসে ওয়ান ইলেভেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবসটি প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের কারাবন্দি দিবস। আর তার কারামুক্তি দিবস বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গণতন্ত্রের কারামুক্তি দিবস হিসেবেই পরিচিত লাভ করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের ওপর নেমে আসে অমানিশার ঘোর অন্ধকার, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব যায় অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতে। যারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে তাদের সে খোয়াব দেশের জনগণ কখনো সফল হতে দেবে না।
তিনি বলেন, যারা ওয়ান ইলেভেনের রঙিন খোয়াব দেখছেন তাদের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। ওয়ান ইলেভেন ছিলো রাজনীতিবিদদের জন্য পাঠশালাস্বরূপ, সেখান থেকেই রাজনৈতিক কর্মীদের শেখার অনেক কিছু আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার এই সংকটে আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো দল জনগণের পাশে নেই। বিএনপি ঘরে বসে বিষোদগার করে যাচ্ছে। শতভাগ মাস্ক পরিধানের মাধ্যমে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে অসহায় জনগণের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।