বার্তা৭১ ডটকমঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, হত্যার বিচার করেছি, তবে এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা সেটা এখনো চিহ্নিত হয়নি। তবে সেটা একদিন না একদিন বের হবে, এটা ঠিক। কিন্তু আমার একটাই কাজ ছিলো যারা হত্যা করেছিলো তাদের বিচার করা, আর সব থেকে বড় কাজ হলো- দেশের মানুষের উন্নয়ন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা।
তিনি বলেন, আমার অবাক লাগে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমাদের দলের (আ.লীগ) যারা ছিলো, তারা কী করে জড়িত থাকলো?
রবিবার (১ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কৃষক লীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্ত ও প্লাজমা দান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
তিনি বলেন, যখনই কোনো রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধান বলেছেন- তখনই জাতির জনক পাল্টা জবাবে বলেছেন- এরা আমার সন্তানের মতো, ওরা কেন আমাকে মারবে? আর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে সেই বিশ্বাসের চরম আঘাত করলো।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে আমরা ১৫ আগস্ট যারা স্বজন হারিয়েছি, আমাদের কিন্তু কোনো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিলো না। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। খুনিদেরকে পুরস্কৃতি করা হয়েছিলো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান খুনিদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি ও ব্যবসা করার সুযোগ দিয়ে বিপুল অর্থের মালিক করে দিয়েছিলো। জিয়ার পথ ধরে জেনারেল এরশাদ এই খুনিদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয়, রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেয়। এমনকি ভোট চুরি করে পার্লামেন্টের মেম্বার করে। তার থেকে এক ধাপ উপরে গিয়ে খালেদা জিয়া খুনি রশীদকে পার্লামেন্টে বিরোধী দলের নেতার চেয়ারে বসায়। আর এক খুনিকে পার্লামেন্টে মেম্বার করে এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করে।
‘১৯৯৬ সালে আমরা যখন সরকারে আসি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে খুনিদের বিচারের পথে নিয়ে এসে বিচারকাজ শুরু করি। প্রথম যেদিন বিচারের রায় হবে ৮ নভেম্বর, সেদিন খালেদা জিয়া তখন বিরোধী দলে, সেদিন হরতাল ডেকেছিল যেনো কোনোমতেই বিচারক কোর্টে যেতে না পারে, আর বিচারের রায় দিতে না পারে। কিন্তু সেই বিচারের রায় হয়েছিলো।
তিনি আরো বলেন, একজন মৃত ব্যক্তিকে খালেদা জিয়া প্রমোশন দেয় এবং তাকে অবসরভাতা দিয়ে পুরস্কৃত করে। তারা ২০০১ সালে ক্ষমতা এসে খুনিদের আবার পৃষ্টপোষকতা করে। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের অনেকে মতামত দিয়েছিল যে এটা আমাদের জন্য বোঝা ছিলো, চলে গেছে ভালোই হয়েছে, এরা তো আর কোনো দিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।