বার্তা৭১ ডটকমঃ ভুয়া ঋণপত্র দেখিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে ১১০০ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় ৮ জন দোষ স্বীকার করেছেন।এ ঘটনায় মূল হোতা কানাডায় পলাতক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা দায়ের করেছে দুদক।
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং-এর অর্থ আত্মসাতে এ পর্যন্ত ১৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় জড়িত মোট অর্থের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। মামলায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৮ জন আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এদিকে পিকে হালদারের দুই সহযোগী ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাহিদা রুনাই ও ওকায়ামা ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক শুভ্রা রানী ঘোষকে রিমান্ডে প্রায় ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। পাঁছ দিনের এ জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিন ছিল রবিবার।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে সংস্থাটির একটি দল জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। বিকেল ৫টায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের রমনা মডেল থানায় পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, ভুয়া ঋণের মাধ্যমে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পিকে হালদার, ওকায়ামা ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান সুব্রত দাস ও তার স্ত্রী শুভ্রা রানী ঘোষসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। আর পিপলস লিজিংয়ে চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দীর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির সূত্র ধরে দুদকের হাতে ১৬ মার্চ গ্রেফতার হন নাহিদা রুনাই। ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকার ভুয়া ঋণের কাগজপত্র প্রস্তুত করে আত্মসাৎ মামলার আসামি তিনি।