দেশে এ মুহূর্তে করোনাভাইরাসের টিকার কোনো সংকট নেই এবং চলতি মাসে আরো দেড় কোটি ডোজ টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, চলতি মাসের শুরুতে ৫৪ লাখ টিকা এসেছে। মাসের বাকি সময়ে আরো দেড় কোটি ভ্যাকসিন দেশে আসবে।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নবাব আব্দুল গণি রোডে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে “জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেসিওলজি) পদে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের যোগদান ও ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে” প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনা মোকাবিলায় বর্তমান সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখা, স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার পেছনে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখার গুরুত্বের বিষয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির কথা বিবেচনা করে একইসঙ্গে ষষ্ঠ গ্রেডে ৪০৯ জন অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া একটি যুগান্তকারী ঘটনা। অতিমারির কথা বিবেচনা করে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার হাসপাতালগুলিতে অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসকের অতি প্রয়োজন দেখা দেয়। এ পদে পূর্বে অনুমোদিত ৬০৮টি পদের বিপরীতে মাত্র ৩০ জন চিকিৎসক কর্মরত ছিলেন। গত বছর আমরা ১৬৯ জন চিকিৎসককে পদোন্নতি দিয়েছিলাম। ওই সময় উপযুক্ত প্রার্থী না থাকায় অবশিষ্ট ৪০৯টি পদে পদোন্নতি দেয়া সম্ভব হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, গত ৭ জুলাই ৪০৯টি শূন্য পদে সরাসরি নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে অনুরোধ করা হলে গত ৫ সেপ্টেম্বর ওই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এত অল্প সময়ে এ বিশাল সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্বাস্থ্যখাত কৃতজ্ঞ থাকবে।
জাহিদ মালেক অনুষ্ঠানে নবনিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সব ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে নতুন নিয়োগ পাওয়াদের সব সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের দেশের সাধারণ মানুষের সেবায় কাজ করার অনুরোধ জানান।