যাদের দলের (বিএনপি) অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা নেই তারা দেশে কীভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। তারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, এমন কথা হাস্যকর ছাড়া আর কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপির জাতীয় সম্মেলন তো দূরের কথা গত এক যুগে তৃণমূল পর্যায়েও তারা কোনও সম্মেলনই করতে পারেনি।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্র একটি বিকাশমান প্রক্রিয়া, একদিন বা এক বছরের বিষয় নয়। এটি সুদীর্ঘ একটি প্রক্রিয়া। সরকার ও বিরোধীদলের আন্তরিক সহযোগিতা এবং চর্চার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা এগিয়ে চলে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের গণতন্ত্রের বিকাশ ও অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। কারফিউ গণতন্ত্র আর মুখোশধারী সেবকদের হাত থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে পুনরুদ্ধার করেছেন তিনি। চলার পথে ভুলক্রটি যে হয়নি এমন নয়, তবে এ ক্রটি সংশোধনের সৎ সাহস শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন।
নির্বাচনবিমুখ একটি দল কীভাবে গণতন্ত্রের কথা বলে। যে দলের মহাসচিব জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে পদত্যাগ করে, তবে তার দল সংসদে রয়েছে; এটা কোনও গণতন্ত্র – প্রশ্ন করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যতই কাল্পনিক অভিযোগ করুক প্রকৃতপক্ষে সরকার নয়, বিএনপিই গণতন্ত্রের বিকাশের পথকে সংকুচিত করেছে। তারা নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার হরণ করে।