এখন থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হওয়ার আগে তদন্ত হবে। যদি দেখা যায় এটি মামলা করার মতো তাহলে সেই মামলা আদালতে যাবে। এর আগে যেনো কোনো সাংবাদিককে মামলায় জড়ানো না হয়।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার হচ্ছে না। কারণ আগে যাচাই-বাছাই করা হয়। এই আইন সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি বলে জানান মন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৪ সাল থেকে আমি খবরের কাগজ পড়ি। তখন আমার বয়স আট। তখন ক্রাইম রিপোর্টিং আলাদাভাবে ছিলো না। আগে আইনজীবীদের মধ্যেও এমনটি ছিলো। কিন্তু এখন আলাদা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠছেন সাংবাদিক ও আইনজীবীরা।
তিনি আরো বলেন, দেখা যায় অনেক অপরাধের তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানার আগেই সাংবাদিকরা পেয়ে যাচ্ছেন। সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে যে সুসম্পর্ক, তা খুবই গভীর হয়েছে। আমাদের দেশে যতো টকশো হয়, এতো টকশো অন্য দেশের গণমাধ্যমে হয় না। বাক-স্বাধীনতা নাই তা বলা যাবে না। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাও হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্র্যাব সভাপতি মিজান মালিক এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফ।