রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই রাশিয়ার পাঁচটি ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাজ্য।
ব্যাংক ৫টি হলো- রোসিয়া, আইএস ব্যাংক, জেনারেল ব্যাংক, প্রোমসভায়াজ ব্যাংক এবং ব্ল্যাক সি ব্যাংক। খবর বিবিসি বাংলার।
খবরে বলা হয়েছে, এগুলো রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে এই নিষেধাজ্ঞা জারির ঘোষণা করেন।
সেই সঙ্গে গেনেডি তিমচেনঙ্কো, বরিস রোটেনবার্গ এবং ইগোর রোটেনবার্গ নামে রাশিয়ার তিন ব্যক্তির সব সম্পদের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে থাকা তাদের সকল সম্পদ জব্দ অবস্থায় থাকবে। তারা যুক্তরাজ্যে যাতায়াত করতে পারবেন না। যুক্তরাজ্যের কোনো নাগরিক তাদের সঙ্গে ব্যবসাবাণিজ্য করতে বা সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
এদিকে যুক্তরাজ্য এবং তার সহযোগী মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা জারি করবে বলে জানিয়েছেন বরিস জনসন।
পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর আগে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে তাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন তিনি।
রাতে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়ার সামরিক যান ইউক্রেনের সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। রাশিয়া বলছে, বিচ্ছিন্ন অঞ্চলটিতে শান্তি মিশনে অংশ নিতে সেখানে রুশ সেনা পাঠানো হয়েছে।
২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে একীভূত করার পর পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন দিয়ে আসছে রাশিয়া। অঞ্চলটিতে লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
কিন্তু তাদের শান্তিমিশনকে ‘অর্থহীন’ বলে আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া যুদ্ধের অজুহাত খুঁজছে বলে দাবি ওয়াাশিংটনের। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলছেন, তার দেশ কোনো কিছুতে কিংবা কাউকে ভয় করে না।
শেষ রাতে জাতীর উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে আন্তর্জাতিক মিত্রদের কাছ থেকে পরিষ্কার ও কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদোমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, কারা আমাদের প্রকৃত বন্ধু কিংবা অংশীদার, কারা রুশ ফেডারেশনের ভয়ে ভীত; তা এখনই দেখার সময়।