ব্রাজিল-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার অব্যবহিত পরই ব্রাজিল কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতির কথা স্মরণ করে বাংলাদেশের জণগণের পক্ষ থেকে ব্রাজিলের সরকার এবং জণগণকে ধন্যবাদ জানান।
আজ শুক্রবার ( ২০ মে) ব্রাজিলের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারো তার শুভেচ্ছা বার্তায় উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সূচনালগ্নে ব্রাজিলের সেই স্বীকৃতির দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের পথ সুগম করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে তার অপরিসীম অবদানের কথা স্মরণ করেন। বঙ্গবন্ধু জণগণের যে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখতেন তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তার সরকার কাজ করছে বলে তিনি জানান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার শুভেচ্ছাপত্রে দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, নারীর ক্ষমতায়ন, তথ্য, যোগাযোগপ্রযুক্তির সম্প্রসারণ এবং ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে তার সরকারের গৃহীত কৌশলগত বিভিন্ন উদ্যোগের বর্ণনা দিয়ে ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশের উত্তরণের কথা উল্লেখ করেন। তিনি ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে উন্নত দেশে উত্তরণের সংকল্প ব্যক্ত করেন।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নানা অর্জনের চালিকাশক্তি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। এ ছাড়া, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কর্তৃক গৃহীত প্রশংসনীয় উদ্যোগসমূহের প্রতি সমর্থন জানিয়ে যেকোনো উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ব্রাজিল কর্তৃক সহযোগিতা দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং প্রেসিডেন্ট বলসোনারো সাদরে সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দুই দেশের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।