দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। যেখানে সংক্রমণের হার নেমেছিল এক শতাংশের নিচে, তা গত এক সপ্তাহে প্রায় চার শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।
এ অবস্থায় করোনা সংক্রমণের চাপ সামাল দিতে হাসপাতালগুলোতে বিশেষ শয্যা ও আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড সংক্রান্ত সরকারের জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
বুধবার (১৫ জুন) রাতে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য যে বিশেষ শয্যা, আইসিইউ ব্যবস্থা ও জনবল ছিলো, তা বর্ধিত হারে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুত রাখার সময় এসেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাসার বাইরে সর্বক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, নো মাস্ক নো সার্ভিস নীতি প্রয়োগ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম বর্জন করা প্রয়োজন। ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানগুলো যেমন- মসজিদ, মন্দির, গির্জাতে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করা দরকার।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে পুনরায় উদ্বুদ্ধ করতে গণমাধ্যমে অনুরোধ জানাতে হবে বলেও জানানো হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
অপরদিকে, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জনগণকে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমরা যেভাবে অসতর্ক হয়ে চলাচল করছি, হাসপাতালে রোগী বাড়তে সময় লাগবে না।
মন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু দেশে এখন আবার বাড়ছে। গত এক মাস দেশে সংক্রমণের হার ছিল দশমিক ৬ শতাংশ, এখন সেটা প্রায় ৪ শতাংশে উঠে গেছে। প্রতিদিন যেখানে দৈনিক ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হতো, এখন তা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। আমরা আশঙ্কা করছি, এ মুহূর্তে পরীক্ষা বাড়ে, তাহলে সংক্রমণের সংখ্যাও আরও বেড়ে যাবে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের জন্য একটা ভালো বিষয় হলো আমাদের কোনো হাসপাতালে এখন ২০ জনের বেশি রোগী নেই। কিন্তু আমরা যেভাবে অসতর্ক হয়ে চলাচল করছি, হাসপাতালে রোগী বাড়তেও সময় লাগবে না। তাই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আরও সতর্ক হতে হবে।
সর্বশেষ গত এক দিনে দেশে ২৩২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশে।