নিজস্ব প্রতিবেদক: পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে স্মরণকালের সেরা উৎসব। একটি গোষ্ঠি পদ্মা সেতু না হওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সততা ও সাহসিকতায় পারেনি। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায়। সেতুর উদ্বোধন যেন ঠিকভাবে করা না যায় সেজন্যও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কিন্তু কোন লাভ হবে না। দেশের ইতিহাসে স্মরণকালের সেরা ও ঐতিহাসিক উৎসব হবে পদ্মার পাড়ে। আজ দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতি,ঢাকার নতুন নেতৃত্বের অভিষেক ও ‘স্বপ্নের পদ্মা সেতু: সমৃদ্ধির পথে শরীয়তপুরসহ দক্ষিণাঞ্চল শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, ২০০১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন। বিএনপি ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পদ্মা সেতুর অগ্রাধিকার তালিকায় রাখেন। সে সময় বিশ^ব্যাংক একটি মিথ্যা অজুহাত দিয়ে অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এরপর প্রধানমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, নূন্যতম দুর্নীতি হয়নি। কানাডার আদালতে দুর্নীতির কোন প্রমাণ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর ঘোষণা করেন। সেসময় কিছু ব্যক্তি ও পত্রিকা বিদ্রুপ করেছিল। সবার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন করেছিলেন। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া’ পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করেছিলেন। ডাহা মিথ্যা। বিএনপির জন্মই মিথ্যার উপর। মিথ্যা বলাটাই তাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে।
আগামী নির্বাচনেও দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে। কারণ উন্নয়নের কারণে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে। বিএনপিকে কী কারণে ভোট দেবে? তারা কি জনগণের জন্য রাজনীতি করে? মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
শরীয়তপুরের বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরেন তিনি। বলেন, পদ্মার ভাঙ্গন থেকে শরীয়তপুরবাসীকে রক্ষার জন্য কাজ করছি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আমলে কৃষি বিশ^বিদ্যালয় করা হয়েছে। জুলাই মাসে ক্যাবিনেটে শেখ হাসিনা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ে উপস্থাপন হবে। ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধন করাবো।
উপমন্ত্রী শামীম মেঘনা সেতুর কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে বলেন, শরীয়তপুর-চাঁদপুর মেঘনা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সয়েল টেস্ট ৭টা শেষ, ২টি বাকী রয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শেষ করে আগামী জানুয়ারি মাসে মুল সেতু নকশাতে যাবে। মেঘনা সেতু হওয়ার পর দুরত্ব ৬০ কিলোমিটার কমে যাবে চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা।
শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতি সভাপতি বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইয়াং বাংলার আহবায়ক শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশন, নগরবিদ ও সভাপতি শরীয়তপুর জেলা শিক্ষা ট্রাস্ট প্রফেসর নজরুল ইসলাম, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলমসহ শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দ।