বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিএনপি জামাত গোষ্ঠী দেশের মঙ্গলকে নিজেদের মঙ্গল ভাবতে পারে না। এদের দ্বারা আর যাই হোক দেশের উন্নতি বা কোন কল্যান হয় না। এরাই ২১আগষ্ট ও ১৫ আগষ্টের হত্যাকারী। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এরা দেশের মানুষের বিরোধিতা করেছিলো। এদের হাত থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাতে হবে। এদের দুর্নীতিবাজ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ৭ হাজার মাইল দূরে বসে টেইক ব্যাক বাংলাদেশ স্লোগান দেয়। আমি তাদের বলবো টেইক ব্যক বাংলাদেশ না, গো ব্যাক পাকিস্তান, গো ব্যাক আফগানিস্তান। বাংলাদেশের মানুষ আর তোমাদের চায় না। তোমরা দেশে এসে আবার হত্যা,লুট ও দূর্ণীতির রাজনীতি শুরু করবে। আমরা আর তোমাদের এগুলো করতে দিবো না।
মঙ্গলবার (৩০ আগষ্ট) বিকালে শেকৃবি’র কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনের সাথে যারা জড়িত সকল খুনিদের এখনো বিচার হয়নি। কিন্তু এই খুনের সাথে পরোক্ষ ভাবে যারা জড়িত তাদের চিনে রাখতে হবে। এই খুনিরা এখনো বাংলাদেশকে ৭৫ এর মত ঘটনা ঘটাতে চায়। এরা এখনও ধ্বংস হয়ে যায় নি। এরা এ দেশেই রয়েছে। তারা সবসময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। তারা সুযোগ পেলেই বলে উঠে ৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। তারা এখনো আত্মস্বীকৃত খুনিদের ভাষায় স্লোগান দেয়। এরা কর্নেল ফারুক রশিদের সূর্যসন্তান বলে আখ্যায়িত করে। এরা বাংলাদেশ বিরোধী অপশক্তি ও আইএসআই এজেন্ট। এরা এখনও রাজনৈতিক লেবাসে এদেশে রয়েছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী গোষ্ঠী। এ গোষ্ঠী বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানাতে চায়।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত সবসময় দেশে ও দেশের বাইরে বসে জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। তারা সবসময় চায় বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে। বাঙালি জাতির জাতিসত্তাকে বিনষ্ট করে পাকিস্তানিদের সব সময় খুশি করতে চায় এরা। এদের এ সকল ষড়যন্ত্র সফল হলে বাংলাদেশে হবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো রাস্ট্র। এরা নারীদের ক্ষমতায়ন চায়না। নারীদের জাগরন দেখলে মেনে নিতে পারে না।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ আত্মনির্ভরশীল হোক বিএনপি জামাত তা কখনো চায় না। এরা চায় বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাক, বাংলাদেশের কোন অস্তিত্ব না থাকুক, দেশে সব সময় জঙ্গিবাদ সৃষ্টি হোক। এরাই রাজশাহীতে পুলিশের সহযোগিতায় বাংলাভাইদের মিছিল করে সহযোগিতা জানিয়েছিল। সারা দেশে ৫০০ জায়গায় এক সাথে সিরিজ বোমা হামলা করিয়েছে। আদালত অঙ্গন থেকে শুরু করে বাজারে এরা বোমা হামলা করিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই বিএনপি-জামাত প্রশাসনকে ব্যবহার করে সরকারের মন্ত্রী, গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সমন্বয়ে ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা দেশের বাহিরে থাকায় রক্ষা পান। খুনিরা সেদিন তাদের হত্যা করতে চেয়েছিল কিন্তু তারা পারেনি। এজন্য খুনিদের দোসররা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পদক্ষেপ নিয়েছিল। সে দিনও আল্লাহ তাকে রক্ষা করে।এ খুনির দলেরা ২১ বার প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করেছিলো। সেই অপশক্তি এখনো পর্যন্ত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশকে উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব কৃষিবিদ মেজবাহ উদ্দিন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষিবিদ মোহাঃ শফিকুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন, কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনের সভাপতি কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স প্রমুখ।
Attachments area