ফের ভারী গোলার শব্দে কেঁপে উঠেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্ত এলাকায়।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে মর্টারসেলের মতো ভারী গোলার শব্দ ভেসে আসছে সীমান্ত এলাকায়। থেমে থেমে চলা গোলাবর্ষণের শব্দে আতঙ্ক বিরাজ করছে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রায় এক মাস ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। এতে সীমান্ত এলাকার বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মিয়ানমারের গোলা কখন যেন দেশে পড়ে সেই আতঙ্ক কাজ করছে তাদের মধ্যে। ছেলেমেয়েরা রাতে ঘুমাতে গেলেও ভয় পায়। অনেকে স্কুলে যাচ্ছে না। এছাড়া সন্ধ্যার পর মানুষ বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
শুক্রবার বিকালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি বিমান আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও শুক্রবার সীমান্তের কোনারপাড়া এলাকায় বিকালের দিকে মিয়ানমারের থেকে ছোঁড়া একটি গুলি এসে বাংলাদেশ সীমান্তে এসে পড়ে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ চলছে দেশটির সেনাবাহিনীর। আরাকান আর্মি (এএ) সম্প্রতি দেশটির একটি বিজিপি ক্যাম্পে হামলা চালানোর পর থেকে এমন সংঘর্ষ শুরু হয়।
বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে পশ্চিম ও উত্তর আরাকানের দুর্গম পাহাড় ও গহীন জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ চলমান। এর ফলে সীমান্ত এলাকায় থাকা বাংলাদেশিরা আতঙ্কিত হয়েছেন।
গত ২৮ আগস্ট ঘুমধুমের তুমব্রু উত্তরপাড়া এলাকায় মিয়ানমারের ছোঁড়া দুটি মর্টারসেল এসে পড়ে। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর বাইশফাড়ি এলাকায় আরও দুটি মর্টারসেল পড়ে বাংলাদেশের ভেতরে।
দিনের পর দিন গোলাগুলি আর যুদ্ধবিমান ওড়াউড়িতে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকার পর শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে ফের গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে সন্ধ্যার দিকে তমব্রু ঘোনার পাড়া এলাকায় ক্ষুদ্রাস্ত্রের একটি গুলি এসে পড়ার খবর জানিয়েছেন স্থানীয়রা।’