আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহকর্মী ছিলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তিনি দেশের রাজনীতির একটা বড় অধ্যায় জুড়ে রয়েছেন। তার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।
আজ সোমবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মরদেহে দলের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধিকার আন্দোলন, স্বাধীনতার সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে তিনি ছিলেন সৈনিক। স্বাধীনতা পরবর্তী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ পুনর্গঠন, রক্তাক্ত ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর প্রতিটি সংকটে তিনি দলের পাশে ছিলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আফজাল হোসেন, এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আসীম কুমার উকিল, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার মহেন্দ্র নারায়ণ একাডেমি মাঠে জানাজা শেষ হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কর্মময় জীবনের অবসান হয় রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে। রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।