চলচ্চিত্র অভিনেতা শাকিল খানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে যশোরের একটি আদালত। জেলার জ্যেষ্ঠ বিচার বিভাগীয় হাকিম আব্দুস সবুর মিনা বুধবার এ আদেশ দেন। কামরুল হাসান কচি নামের এক ব্যক্তির করা প্রতারণা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়।
অপর দুই আসামি হলেন শাকিলের নিম হারবাল লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের এরিয়া ম্যানেজার মিজানুর রহমান মিজান এবং অ্যাসিট্যান্ট সেলস ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেন। শাকিল ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
গত বছরের ২২ ডিসেম্বর যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দিপাড়ার কামরুল হাসান কচি মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলায় বুধবার অভিযুক্তদের আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তারা কেউ হাজির না হওয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়না জারি করা হয় বলে বাদীর আইনজীবী জানান।
বাদী পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ বলেন, কামরুল হাসান কচি বিভিন্ন কোম্পানির ডিলারশিপ নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। গত বছরের ১৬ মে মিজানুর রহমান বাদীকে তাকে নিম হারবাল লিমিটেডের ডিলারশিপ নেওয়ার প্রস্তাব দিলে বাদী গ্রহণ করেন।
চুক্তির পর বাদীর সঙ্গে নিম হারবাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিল খানের আলোচনা হয় পণ্য বাজারজাতকরণ নিয়ে। ওই সময় শাকিল খান বাদীকে তিনজন কর্মচারী নিয়োগ দিতে বলেন। ওই তিনজনের বেতন কোম্পানি দেবে বলে শাকিল খান জানান। এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য পরিবর্তনের অঙ্গীকারও করেন তিনি।
সেইমতে বাদী গত ১ জুন তিনজন কর্মচারী নিয়োগ করেন। ১০ জুন কোম্পানি দুইজনের বেতন পরিশোধ করে। এরপর থেকে মামলা করার আগের দিন পর্যন্ত আর কোনো বেতন পরিশোধ করেনি কোম্পানি। এছাড়া এক লাখ ৬৩ হাজার ৮২৫ টাকার মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য পরিবর্তন না করে নানাভাবে ঘোরাতে থাকে।
এই তিন কর্মচারীর বেতন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য মিলে মোট এক লাখ ৯৩ হাজার টাকা ফেরতসহ ডিলারশিপ থেকে অব্যাহতি চান বাদী কামরুল হাসান কচি। কিন্তু কোম্পানি নানাভাবে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।