বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল এবং সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সকালে জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন ন্যাম ভবন প্রাঙ্গণে তাদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবৃন্দ ও সংসদ সদস্যগণ সহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মরহুম দুই সংসদ সদস্যদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল। এছাড়া স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষ থেকে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা সামাজিক স্যগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
পরে সাংবাদিকদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মাঝে মাঝে বড় কষ্ট লাগে, দেশের রাজনীতি থেকে কেন যেন মনে হয় ভালো মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। শাহজাহান কামালের মত একজন ভালো মানুষ রাজনীতিতে বিরল। তাকে হারানো মানে আমরা একজন ভালো মানুষকে হারালাম। রাজনীতিবিদ হিসেবে তার আদর্শ গুনাবলি আমরা মনে রাখব এবং অনুসরণ করব। এ দুই নেতার মৃত্যুতে আমরা ভালো মানুষ হারালাম।
আমরা এখানে নামাজে জানাজার শামিল হয়েছে। আমাদের পার্টির পক্ষ থেকে আমরা ফুল দিয়েছি। আমাদের পার্টির প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাইরে আছেন, তিনি শোকবার্তা পাঠিয়েছেন।
ব্যক্তিগতভাবে শাহজাহান কামাল আমার খুবই ক্লোজলি রিলেটেড ছিলেন। তিনি ছাত্রনেতা থেকে জননেতা হয়েছেন। পরে মন্ত্রী। একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। একজন সাচ্চা আদর্শবান মানুষ ছিলেন। আব্দুল সাত্তারও একজন ভালো মানুষ হিসেবে তার এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল। তিনি জনগণের ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন।
এসময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জি.মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুর রাজ্জাক,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আক্তারুজ্জামান, ডেপুটি স্পিকার শাসমুল হক টুকু, ওয়াকার্স পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন,আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।