আব্দুল্লাহ আল শাফী:
ভারত বয়কটের ডাকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের বক্তব্যে মিল নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি আজ সকালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করে বলেন,
এ সময় সড়ক ও সেতু মন্ত্রী বলেন, বিএনপি অবাক করা দল, বিএনপি’র এক নেতা বলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারত আমাদের সহযোগিতা করেছে, আবার আরেক নেতা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন। মঈন খানের এক কথা, রিজভীর আরেক কথা। সিঙ্গাপুর থেকে মির্জা ফখরুল বলেন আরেক কথা। নেতায় নেতায় কথায় মিল নেই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ক্ষমতাকেন্দ্রিক ও নিজেদের পকেটের উন্নয়নের দল। সাধারণ মানুষের দল নয়। আর আওয়ামী লীগ জনগণের দল । তিনি বলেন, বিএনপি ইফতার পার্টি করে, আর আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে। এই হলো আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে পার্থক্য।
এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ইফতার পার্টি না করে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করতে দলীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার যে নির্দেশ তা পুরো ঢাকা শহরসহ সারাদেশে অব্যাহত রাখতে হবে।
বর্তমান বাজারদর নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, ইদানিং বেশ কিছু পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। পেঁয়াজের দাম কোথায় গিয়েছিল, এখন সেটা ৩০/৩৫ /৪০ টাকায় নেমে গেছে। আমার মনে হয়, জিনিসপত্রের দাম আরো কমবে। সাধারণ মানুষের সহনীয় পর্যায়ে আসবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে বিএনপি আবার পাকিস্তানি কায়দায় পাকিস্তান আমল থেকেই যে অপপ্রচার শুনেছি রাজনৈতিক ইসু যখন থাকে না তখন একটা ইস্যু আওয়ামী লীগ বিরোধিতা। আগে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে হতো এখন আবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হচ্ছে। সেটা হচ্ছে ভারত বিরোধী। এখানে ভারতের কি আছে? বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। নির্বাচনে ৪১ ভাগের বেশি ভোট পড়েছে , অনেক উন্নত দেশেও এই পরিমাণ ভোট পড়ে না। তারপরও তারা বলে ভারত এখানে নির্বাচিত করল।
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেক ষড়যন্ত্র ছিল জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত সহ বন্ধু দেশ যারা আছে তারা দেশি-বিদেশে নির্বাচন বানচালের যে চক্রান্ত চলছিল তখন তা প্রতিহতে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সহ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা দেশের বাজারকে অস্থির করতে বিএনপির ভারত বিরোধিতার কড়া সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক অপশক্তি নির্মূল করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন তারা। এদিন প্রায় তিন হাজার মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ।