বার্তা ৭১ ডটকম: ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল এর প্রভাবে প্রায় ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভৌগোলিক এলাকায় ঝড়-বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৬৫টি সমিতিতে গ্রাহক সংযোগ আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ আছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকার ৩০টি সমিতি-তে ‘রিমাল’ এর আঘাতে প্রাথমিক ক্ষয়-ক্ষতির তথ্য:- পোল বিনষ্ট-২ হাজার ৩৯২টি, ট্রান্সফরমার বিনষ্ট-১ হাজার ৯৮২টি, স্প্যান (তার ছেঁড়া)-৬২ হাজার ৪৫৪টি, ইন্সুলেটর ভাঙ্গা-২১ হাজার ৮৪৮টি, মিটার বিনষ্ট-৪৬ হাজার ৩১৮টি। সার্বিক ভাবে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি ৭৯ কোটি ২ লাখ টাকা। বেলা ২টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুসারে বিদ্যুৎবিহীন গ্রাহক-১ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজারটি।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)’র প্রাথমিক ক্ষয়-ক্ষতির তথ্য:- পোল বিনষ্ট-২০টি, পোলে হেলে পড়া-১৩৫টি, বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে যাওয়া-২৪ দশমিক ৩৪ কি. মি. ১১ কেভি পোল ফিটিংস বিনষ্ট ১৪২ সেট, ট্রান্সফরমার বিনষ্ট-১২টি, ১১ কেভি ইন্সুলেটর বিনষ্ট-১৩৪টি। সার্বিকভাবে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ টাকা। বেলা ৫টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুসারে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎবিহীন গ্রাহক সংখ্যা ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৮১টি।
ঘূর্নিঝড় ‘রিমাল’ পরবর্তী FSRU-এর অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে স্থাপনাসমূহের কোনো ধরনের ক্ষতি সাধিত হয়নি। এখনো প্রচন্ড ঝড়োবাতাসসহ বৃষ্টি ও High Wave বিদ্যমান রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হ্রাসকৃত RLNG সরবরাহ গতকাল বিকেল থেকে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করে বর্তমানে তা ১০০০ এমএমসিএফডিতে উন্নীত হয়েছে। আজ দুপুর হতে তা ১১০০ এমএমসিএফডিতে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় চলমান থাকায় ক্ষয়-ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাগণের সাথে টেলিফোনে আলোচনা করে ক্ষয়-ক্ষতির একটি প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে তদারকি করা হচ্ছে। জেলা পর্যায় ও সমিতিভিত্তিক কন্ট্রোল রুম রয়েছে। পরিবরহন ঠিকাদারকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) এলাকায় সকল ধরনের কর্মকর্তাগণের ছুটি বাতিল করে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) প্রয়োজনীয় মালামালসহ প্রস্তুত রয়েছে। ঝড় বা বাতাস কমার সাথে সাথে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করা হবে।