বার্তা৭১ ডটকম: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে যে কোনো ব্যক্তি যে জীবনে একবারও ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে কোনো ইউনিটে সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক পদের প্রত্যাশী হতে পারেন। এ ধরনের আদর্শনিষ্ঠ ব্যক্তিরা দলের নীতি নির্ধারকদের কাছে যথাযোগ্য বিবেচিত হলে তাদের এই পদে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহি কমিটির সাবেক উপ-আইন সম্পাদক এ্যাড. মোঃ রাসেল মজুমদার।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং ‘জয় বাংলা’ স্লোগান:
‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম প্রধান চেতনাসূচক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের মূর্ত প্রতীক। এ স্লোগানটি মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং শত্রুর বিরুদ্ধে উৎসাহ দিতে ব্যবহৃত হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণ এবং নেতৃত্ব
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন আদর্শ ও চেতনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গভীরভাবে প্রোথিত। দলের নীতি নির্ধারকরা বরাবরই এই আদর্শের প্রতি অনুগত ও সৎ নেতাদের মূল্যায়ন করেন। দলের সংবিধানে বলা হয়েছে, যোগ্যতা, নিষ্ঠা এবং দলীয় আদর্শের প্রতি অবিচল থাকাই নেতৃত্ব নির্বাচনের মূল মানদণ্ড হওয়া উচিত। (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংবিধান, ২০১৬)
নেতৃত্বে নতুন মুখ এবং নীতিনির্ধারকদের ভূমিকা
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটে নেতৃত্বের দায়িত্বে নতুন মুখকে স্বাগত জানাতে নীতিনির্ধারকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে দলের সুপ্রতিষ্ঠিত নেতাদের এবং দলীয় সংবিধানের দিকনির্দেশনাকে সম্মান জানানো হয়।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অনুগত এবং ‘জয় বাংলা’ স্লোগানধারী নেতারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটে নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে পারেন। নীতি নির্ধারকরা তাদের যথাযোগ্য মনে করলে, এ ধরনের নেতারা দলকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সক্ষম হবেন। এভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত থাকবে।
রেফারেন্স
1. বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংবিধান, ২০১৬
লেখক: সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক এ্যাড. মোঃ রাসেল মজুমদার।