বার্তা৭১ ডটকম: পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক সম্মেলনটি কর্মীদের মাঝে অভূতপূর্ব উৎসাহ এবং উদ্দীপনার সঞ্চার করেছে। এই সম্মেলনে জহিরুল আলম জসিম এবং দেলোয়ার হোসেনের পরিষদকে সেরা ও যোগ্য পরিষদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের নেতৃত্বে আগামী দিনের পর্তুগাল আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল।
জহিরুল আলম জসিম এবং দেলোয়ার হোসেন তাঁদের কর্মীবান্ধব মনোভাব এবং কর্মীদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকার জন্য সুপরিচিত। তাঁদের নেতৃত্বে পর্তুগাল আওয়ামী লীগ সুশৃঙ্খল এবং সংগঠিত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ডিজিটাল বাংলাদেশ ও বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে তাঁদের বিকল্প নেই।
পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সম্মেলন আগামী ১০ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনে জহিরুল আলম জসিম ও দেলোয়ার হোসেনের পরিষদকে নির্বাচিত করতে চান পর্তুগালের সর্বস্তরের নেতা কর্মী। তাঁদের মধ্যে যে গুণাবলীর সমন্বয় রয়েছে, তা এই নেতৃত্বকে সর্বোচ্চ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
জহিরুল আলম জসিম ও দেলোয়ার হোসেনের মধ্যে বিদ্যমান গুণাবলী:
১. আদর্শিক প্রতিশ্রুতি:
জহিরুল আলম জসিম ও দেলোয়ার হোসেন দলের আদর্শ ও নীতির প্রতি সম্পূর্ণভাবে আনুগত্য প্রদর্শন করেছেন। তাঁরা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
২. রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা:
দীর্ঘদিন ধরে দলের বিভিন্ন স্তরে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাঁদের রয়েছে। এই অভিজ্ঞতা তাঁদের নেতৃত্বকে শক্তিশালী করেছে এবং দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়েছে।
৩. নেতৃত্বের দক্ষতা:
তাঁদের নেতৃত্বের দক্ষতা অতুলনীয়। কর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং তাঁদের সমস্যাগুলির সমাধানে দৃঢ়সংকল্প তাঁরা প্রদর্শন করেছেন।
৪. সাংগঠনিক ক্ষমতা:
তাঁদের সাংগঠনিক ক্ষমতা দলের সকল স্তরে সমন্বয় সাধনে সহায়ক হয়েছে। দলীয় সদস্যদের একত্রিত করা এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তাঁরা বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন।
৫. জনসেবার মানসিকতা:
জহিরুল আলম জসিম ও দেলোয়ার হোসেন জনসেবার মানসিকতা প্রদর্শন করেছেন। পর্তুগাল প্রবাসীদের সুখ-দুঃখে পাশে থেকে তাঁদের কল্যাণে কাজ করার প্রবণতা তাঁদের মধ্যে রয়েছে।
৬. আন্তর্জাতিক যোগাযোগ:
তাঁদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগের দক্ষতা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে এবং তাঁদের সমস্যা সমাধানে সহায়ক হয়েছে।
৭. সাংস্কৃতিক ও সামাজিক জ্ঞান:
তাঁরা প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
৮. শিক্ষা ও ব্যক্তিত্ব:
জহিরুল আলম জসিম ও দেলোয়ার হোসেন উচ্চশিক্ষিত ও সুশিক্ষিত। তাঁদের ব্যক্তিত্বে দৃঢ়তা ও সৎ চরিত্রের অধিকারী।
কর্মীদের প্রতিক্রিয়া ও সমর্থন:
পর্তুগালের সর্বস্তরের নেতা কর্মী এবং সমর্থকরা বিশ্বাস করেন যে, জহিরুল আলম জসিম ও দেলোয়ার হোসেনের মধ্যে এই সকল গুণাবলীর সমন্বয় পর্তুগাল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে তাঁদেরকে সর্বোত্তম পছন্দ করে তুলেছে। তাঁদের নেতৃত্বে দল আরো সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হবে এবং শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা পালন করবে।
এই সম্মেলনে তাঁদেরকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সদস্যরা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে। তাঁদের যোগ্যতা ও দক্ষতা পর্তুগাল আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে দলীয় ঐক্য ও সমন্বয় বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
সম্মেলনের বিশেষ দিকনির্দেশনা:
এই সম্মেলনে দলীয় নীতি এবং আদর্শের প্রতি সম্পূর্ণ আনুগত্য প্রদর্শন করা হয়। দলের সব স্তরের কর্মীদের উন্নয়ন এবং কল্যাণে নিবেদিত এই দুই নেতা তাঁদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সুনাম বৃদ্ধির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সম্মেলনের গুরুত্ব ও প্রভাব
১. কর্মীবান্ধব নীতি:
• জহিরুল আলম জসিম ও দেলোয়ার হোসেন কর্মীদের পাশে থেকে তাঁদের সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের নেতত্বে দলের সকল কর্মী অভিন্ন মন্ত্রে কাজ করতে পারবেন।
2. নেতৃত্বের দক্ষতা:
o দুই নেতা তাঁদের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা দিয়ে দলকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সক্ষম। তাঁদের নেতৃত্বে দল আরো সুশৃঙ্খল এবং সুসংগঠিত হবে।
3. ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন:
o শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জহিরুল আলম জসিম ও দেলোয়ার হোসেন কাজ করবেন। তাঁদের নেতৃত্বে পর্তুগাল আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে, যা বাংলাদেশ তথা ইউরোপে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন:
পর্তুগিজ সরকারের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন: পর্তুগিজ সরকার ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমস্যাগুলোর সমাধান করা।
দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা: বাংলাদেশ ও পর্তুগালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি, বিশেষ করে বাণিজ্য, শিক্ষা, এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়।
পরিশেষে
জহিরুল আলম জসিম ও দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পর্তুগাল আওয়ামী লীগ এই সকল পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে। তাঁদের দক্ষ নেতৃত্বে পর্তুগাল আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করতে সক্ষম হবে।
লেখক: সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক এ্যাড. মোঃ রাসেল মজুমদার।